• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ওপর হামলা


খুলনা প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৩, ২০১৬, ০৮:১৩ পিএম
খুলনায় আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ওপর হামলা

খুলনা : খুলনায় জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী অজয় সরকার হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অজয়ের দাবি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পেটে আঘাতের পাশাপাশি তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়া হয়।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে মনোনয়নপত্র বাছাই প্রক্রিয়া শেষে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

অজয় সরকারের অভিযোগ, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদের অনুসারীরা তার ওপর এই হামলা চালিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন,  দুপুর ২টার দিকে খবর পাই, আমার লোকজনদের ওপর হামলা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমি পুলিশ কমিশনারকে জানালে তিনি আশ্বস্ত করার পর দুইটার আগেই আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাই। সেখানে জেলা প্রশাসককেও নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি জানাই। আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর পুলিশি নিরাপত্তায় নিচে নামছিলাম। এ সময় জামালের নেতৃত্বে হারুনুর রশীদের অনুসারীরা আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়ে চরম মূল্য দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। একপর্যায়ে গাড়িতে ওঠার সময় তারা পেছন থেকে আমার ওপর হামলা চালান। এসময় একাধিকবার আমাকে কোপ দেয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ ঘিরে রাখায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। তবে একটি কোপ পেটের বাম পাশে লেগেছে।  প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার কথা জানালেও কোথায় আছেন তা জানাতে চাননি অজয়।

অজয় বলেন, হামলার পর দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার সময় তারা আমার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে গুলি দুটি গাড়ির পেছনে লাগে। এ সময় আমার চালক দ্রুত আমাকে নিরাপদে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে আমি লিখিত অভিযোগ করব।

এদিকে কামরুজ্জামান জামাল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং অজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে গালিগালাজ করছে বলে আমি শুনেছি। এসময় তিনি দাবি করেন, অজয় সরকার নিজেই গুলি ছুড়েছেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনার জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই কিছুটা উত্তেজনাও ছিল। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় অজয় সরকার উপস্থিত হয়ে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নের কথা জানালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অতিরিক্ত পুলিশ আনতে বলা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ আসার পর প্রার্থী নিজের ইচ্ছাতেই নিচে নেমে যান। পরের ঘটনা আর কিছু শোনা হয়নি।

হামলা ও গুলি ছাড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে খুলনা সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!