• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খেলাপি ঋণের চাপে মূলধন ঘাটতিতে সাত ব্যাংক


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১, ২০১৭, ০৯:১০ এএম
খেলাপি ঋণের চাপে মূলধন ঘাটতিতে সাত ব্যাংক

ঢাকা: মোটা অঙ্কের ঋণ আদায় না হওয়ায় তা খেলাপি হয়েছে। এখন সেই খেলাপির বিপরীতে প্রভিশন রাখতে গিয়ে পুরো ব্যাংকিং খাত প্রয়োজনের তুলনায় ২৮ শতাংশ মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে। অর্থের পরিমাণে হচ্ছে সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা। তাতে দেশের সাতটি ব্যাংককে মূলধন থেকে টাকা সরাতে হয়েছে। তারপরেও মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে কয়েকটি ব্যাংক। এরমধ্যে চারটিই রাষ্ট্রায়ত্ব। ফলে এ ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী অতিরিক্ত প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে ১১টি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হাল নাগাদ তথ্যে এ চিত্র বেরিয়ে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখতে হয়েছে। কিছু ঋণ পুনর্গঠন করা হলেও, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশে তাতেও প্রয়োজনীয় প্রভিশন রাখতে হয়েছে ফলে কয়েকটি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে। ফলে অর্থ-বছরের শেষ সময়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ব্যাংকাররা।

সূত্র জানিয়েছে, মূলধন ঘাটতিতে পড়া ব্যাংকগুলো হলো, সোনালী, রূপালী, বেসিক, কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন, বাংলাদেশ কমার্স ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সাল শেষে সোনালী ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকায়। বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা ও রূপালী ব্যাংকের ৭১৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি হয়েছে ৩৪৫ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ১ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ৭ হাজার ৮৩ কোটি টাকা ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৪২ কোটি টাকায়। সব মিলিয়ে সাত ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা।

এছাড়াও ছয়টি ব্যাংক মুনাফার অংশ থেকে প্রয়োজনীয় প্রভিশন রাখতে পারেনি। ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ আয় করেছে তা দিয়ে খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখতে পারেনি। এই ব্যাংকগুলো হলো, সোনালী, রূপালী, বেসিক, বাংলাদেশ কমার্স, ন্যাশনাল ও প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সাধারণ মানের ঋণের বিপরীতে ০.২৫ থেকে ৫.০ শতাংশ হারে, অনিয়মিত ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ, সন্দেহযুক্ত ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ ও কু-ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাকতে হয়। এই নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন রাখতে হয়ে ব্যাংকের মুনাফা থেকে। সেখান থেকে যোগান না হলে ব্যাংকের মূলধন থেকে তা দিতে হয়। এই ঋণ আদায় হলে প্রভিশন থেকে কেটে নিয়ে তা মুনাফায় যোগ হয়।

সোনালীনিউজ/তালেব  

Wordbridge School
Link copied!