• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতে দেশঁমের বিরল রেকর্ড


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১৫, ২০১৮, ১১:৫১ পিএম
খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতে দেশঁমের বিরল রেকর্ড

ঢাকা: ‘৯৮’-এর সেই রাত দিদিয়ের দেশঁম হয়তো কখনও ভুলতে পারবেন না। ভুলতে পারবেন না ২০১৮-এর এই রাতও। দুই রাতের মধ্যে সাদৃশ্য অনেক। সেদিনও ফ্রান্স খেলেছিল বিশ্বকাপের ফাইনালে। সেদিনও সোনার ট্রফি উঠেছিল ফ্রান্সের হাতেই। তবে সেদিনের খেলোয়াড়রা আজ আর কেউ মাঠে নেই। শুধু মাঠের বাইরে কমন লিংক হয়ে থেকে গেলেন দিদিয়ের দেশঁম। খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ ছোঁয়ার বিরল কৃতিত্ব গড়লেন তিনি। বসলেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও জর্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের সঙ্গে এক আসনে।

গোটা ক্রোয়েশিয়া ফুটছিল এক অভূতপূর্ব জনজাগরণে। ছোট্ট একটা দেশ প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু নিংড়ে দিয়ে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন মডরিচরা। ক্রোট প্রেসিডেন্টের উচ্ছ্বাস যেন হিল্লোল তুলেছিল গোটা বিশ্ববাসীর মনে। ভেসে গিয়েছিল আবেগের নৌকা। কিন্তু দিনের শেষে ফুটবলটা খেলা হয় অঙ্কে। দেশঁমের থেকে ভালো তা বোধহয় আর কেউ জানেন না।

গোটা টুর্নামেন্টে দেখা গেছে দলের জয় নিশ্চিত হলেই ঘর সামলানোর স্ট্র্যাটেজি নিয়েছেন ফ্রান্স কোচ। তাতে সমালোচনা কম হয়নি।  দেশঁম জানতেন, শেষ বিচারে কথা বলে ফলাফল। আবেগের নৌকা আদরের হতে পারে, কিন্তু নিখুঁত বৈঠা বাওয়াই তরণীকে পারে পৌঁছায়। গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে দেশঁম তাঁর দলকে তাই বেঁধেছিলেন একসুরে।

গ্রিজম্যানের পরিণতিবোধ আর এমবাপ্পের তারুণ্যকে মিশিয়েছেন সঠিক অনুপাতে। পল পগবার জেদকে জুড়ে দিয়েছেন তার সঙ্গে। আর ফাইনালে ফ্রান্স যে খেলা উপহার দিল, তাতে আর দেশঁমের বিরুদ্ধে কোনও সমালোচনা থাকে না ফুটবলপ্রেমীদের। ক্রোটদের নাছোড় জেদ একদিকে, আর দেশঁম এই বাঁধা তারে বেজে ওঠা ফ্রান্স অন্যদিকে। শেষমেশ জয় হলো দেশঁমেরই। আর তিনি পৌঁছে গেলেন ইতিহাসের বিরল ক্লাবে, যেখানে সদস্য মাত্র তিনজন। ব্রাজিলের জাগালো। যিনি খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৫৮ এবং ১৯৬২ সালে বিশ্বকাপ পেয়েছিলেন। আর কোচ হিসেবে কাপ ছুঁয়েছিলেন ১৯৭০ বিশ্বকাপে।

জার্মানির বেকেনবাওয়ার একই কৃতিত্ব গড়েছিলেন ১৯৭৪ ও ১৯৯০ বিশ্বকাপে। আর থাকলেন দিদিয়ের দেশঁম। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ছুঁয়েছিলেন অধিনায়ক হিসেবে। আর ২০১৮-তে এসে ফের ছুঁলেন সোনার ট্রফি, এবার কোচ হয়ে। ফরাসি ফুটবলের ইতিহাসে তাঁর নাম তাই লেখা থাকবে সোনার অক্ষরে।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!