• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গণজাগরণমঞ্চের চার বছর


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭, ১০:২৪ পিএম
গণজাগরণমঞ্চের চার বছর

ঢাকা: আজ ৫ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চের চার বছর পূর্তি। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের প্রতিবাদে সেদিন রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করে অবস্থান নেয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ ছাত্রসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ। তারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদ করে ফাঁসির দাবি তোলেন। 

সেই এক দাবিতে এক নাগারে ১৫ দিন (২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) আন্দোলনকারীরা সেখানে অবস্থান ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। এরপর সরকার আইন পরিবর্তন করে। কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করে সরকার। উচ্চ আদালত থেকে কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার রায় দেন। 

দেশজুড়ে আলোচিত এ আন্দোলন গণজাগরণমঞ্চ নামে পরিচিতি। আন্দোলন চলাকালে গণজাগরণমঞ্চের মধ্যে মতপার্থক্য হলে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে একটি অংশ বেরিয়ে যায়। তবে মঞ্চের মূল নেতৃত্ব থেকে যায় ডা. ইমরান এইচ সরকার ও তার অনুসারীদের হাতে।  

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ডা. ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চ শাহবাগে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নেয়। এর মধ্যে ছিল দুপুর ২টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ৩টায় শোভাযাত্রা, সাড়ে ৩টায় আলোচনা সভা ও সন্ধ্যা ৬টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা, নারী নির্যাতন, লুটপাটে যারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে অংশ নিয়েছিল তাদের শাস্তির দাবিতে গণজাগরণমঞ্চ এই আন্দোলন শুরু করেন। তবে এর আগেও এমন দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। 

সূত্রমতে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবি নিয়ে সোচ্চার হয় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবার। এরপর ১৯৭৯ সালে আন্দোলনের সূচনা করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। ১৯৮৮ সালে এসে ডা. এম এ হাসানের নেতৃত্বে গঠিত হয় শহীদ লেফটেন্যান্ট সেলিম মঞ্চ। সবশেষে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত হয় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এসব আন্দোলন সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। 

গণজাগরণমঞ্চের ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ও তাদের আর্থিক উৎস চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা। গেল চার বছরে গণজাগরণমঞ্চের অধিকাংশ দাবিই বাস্তবায়ন হয়েছে।

সোনালীনিউজডটকম

Wordbridge School
Link copied!