• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গণতন্ত্র আছে বলেই তারা সমালোচনা করতে পারে: কাদের


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৬, ২০১৮, ১০:৩৭ পিএম
গণতন্ত্র আছে বলেই তারা সমালোচনা করতে পারে: কাদের

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে পারত না। মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ে কটাক্ষ করতে পারত না। গণতন্ত্র আছে বলেই তারা যেখানে খুশি সেখানে সভা-সমাবেশ করতে পারছে।

সোমবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রেপ্তার দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ভাঙা রেকর্ড বারবার বাজিয়ে যাচ্ছে, এটি জনগণ জানে। গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করে তারা বিপাকে পড়েছে। এ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে চিহ্ণিত দুর্নীতিবাজদের দলে টানছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে মাইনাস করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী দেশের সবচেয়ে সফল, সাহসী, সৎ, দক্ষ প্রশাসক ও কূটনীতকের নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তার সাহসী নেতৃত্ব এখন দেশের বহু মানুষের মধ্যে শক্তি যোগায়।

দেশে গণতন্ত্র রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্র রয়েছে বলেই বিএনপির নেতারা অগণতান্ত্রিকভাবে অশ্রাব্য ভাষায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সরকারকে গালিগালাজ করতে পারছে।

তিনি আরো বলেন, তারা প্রতিনিয়ত সংবাদ সম্মেলনের নামে মিথ্যাচার করে। কিন্তু পুলিশ তো কখনও তাতে বাধা দেয়নি। সরকারের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক ভাষায় গালগালি করার পরও তারা অভিযোগ করছে দেশে গণতন্ত্র নেই। এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর হতে পারে না।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টকশোর নামে যেভাবে কথা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আমরা তা কখনো বলতে পারতাম না। বাসায় ফেরার পথেই গ্রেপ্তার করা হতো।

তিনি বলেন, যারা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টিশীল অর্জন করতে পারে তারাই শেখ হাসিনার কর্মী। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে এখন থেকেই দলের নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। নির্বাচনে জয়ী হতে না পারলে আমাদের সব অর্জন বৃথা যাবে। শেখ হাসিনা ৪০ বছরের সফল নেত্রী। তিনিই পারবেন দেশকে উন্নয়নের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন। দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করলে বৃথা যাবে না। আওয়ামী লীগে এক নেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে সমালোচনা করে না কিন্তু বিএনপিতে পাশে বসেই একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে। এটিই হলো শেখ হাসিনার নেতৃত্ব।

যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী, শহীদ সেরনিয়াবাত, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!