• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গণতন্ত্র রক্ষায় আগুনে পুড়ল সংসদ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক   এপ্রিল ২, ২০১৭, ১০:৩৬ এএম
গণতন্ত্র রক্ষায় আগুনে পুড়ল সংসদ

আগুনে পুড়লো প্যারাগুয়ের পার্লামেন্ট। ছবি: রয়েটার্স

ঢাকা: গণতন্ত্র রক্ষায় এবার মাঠে নেমেছে প্যারাগুয়ের জনগণ। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা দখলের জন্য নতুন এক আইন করার চেষ্টা করছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হোরাসিও কার্তেস। এমন অভিযোগে মাঠে নেমেছে বিরোধীরা। তারই অংশ হিসেবে পার্লামেন্টে আগুন দেয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে পুলিশের গুলিতে একজন নিহতও হয়েছে বলে প্রচার করছে বিবিসি।

ওই সংবাদে বলা হয়, সংবিধান সংশোধনী আটকাতে রাজধানী অ্যাসুনসিওনে পার্লামেন্ট ভবনে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে আগুন দেয় বিদ্রোহীরা।

গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভে উত্তাল লাতিন আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে। বিরোধীদের অভিযোগ, সংবিধানে সংশোধনী আনতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট হোরাসিও কার্তেস। ১৯৯২ সালে তৈরি সংবিধান অনুযায়ী, দেশের কোনও শাসক পাঁচ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। কিন্তু সেই আইনেই এখন বদল আনতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট কার্তেস। 

তার দাবি, নতুন সংবিধানে শাসকের সময়কাল কোনও সীমায় বেঁধে রাখা যাবে না। সংবিধান সংশোধন করতে একটি নতুন বিলের প্রয়োজন। পার্লামেন্টের ২৫ জন সেনেটর তাতে সায় দেয়ার পরই শুরু হয় ক্ষোভ। নতুন বিল তৈরি করতে পার্লামেন্টের অন্য কক্ষেরও সম্মতি দরকার। আর সেখানে কার্তেসের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় খুব সহজেই তা পাশ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা বিরোধীদের।

অ্যাসুনসিওনের রাস্তায় দফায় দফায় বিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। প্রেসিডেন্ট টুইটারে শান্তির আর্জি জানিয়েছেন। 

গতকাল রাতে পার্লামেন্টের একাংশে আগুন লাগিয়ে দেয় বিদ্রোহীরা।  বিক্ষোভ ঠেকাতে গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশের রাবার বুলেটে মৃত্যু হয়েছে ২৫ বছরের যুবক রডরিগো কুইনতানার। তার মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

১৯৫৪ থেকে ’৮৯ সাল পর্যন্ত সামরিক শাসন কায়েম ছিল প্যারাগুয়েতে। জেনারেল আলফ্রেডো স্ত্রোয়েসনারকে গদিচ্যুত করার পর গণতন্ত্র আসে দেশে। ১৯৯২ সালে তৈরি হয় নতুন সংবিধান। সেই সংবিধানেই এখন সংশোধন আনতে চেয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন কার্তেস। সংবিধান সংশোধিত হলে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো লুগোও ফের শাসন ক্ষমতা হাতে পেতে পারেন। তার শাসনকালে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় লুগোকে।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!