• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানুয়ারি ৮, ২০১৮, ০৬:২৭ পিএম
গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ : জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ২০১৭ সালে দায়ের করা কিশোরী মুনমুন গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক এক আসামি রাহুল (২৪)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন চৌরাপাড়া এলাকার হুমায়ূন কবিরের ছেলে। রাহুলকে গ্রেপ্তারের কারণে এই মামলার সব আসামিকেই আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলো বলে দাবি করেছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, মুনমুন গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার মোট আসামি ৪ জনের মধ্যে ৩ জনকে ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে থেকে নেছার আলী নামে একজন আদালতে দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। ইতিমধ্যে ওই মামলার চার্জশিটও দেয়া হয়েছে আদালতে। এর আগে ৩ জন আসামিকে আটক করা হলেও রাহুল দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে গোপন সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এই মামলার পলাতক আসামি জেলার রাহুল বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় অবস্থান করছে। পরে বন্দর থানা পুলিশের সহযোগীতায় আসামি রাহুলকে আমরা গ্রেপ্তার করি। রাহুলকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এই মামলার সব আসামিকেই আইনের আওতায় আনা হলো।

উল্লেখ্য, বন্দর চৌড়াপাড়া এলাকার মানসিক প্রতিবন্ধী মুনমুনের সঙ্গে একই এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে রাসেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মুনমুন রাসেলকে প্রায়ই বিয়ের কথা বলতো। কিন্তু রাসেল মুনমুনকে বিয়ে করতে চাইতো না। মুনমুন বেশ কয়েকবার রাসেলকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেছে। এতে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে হয়ে ওঠে এবং মুনমুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাসেলের বন্ধু নেছারের মাধ্যমে মুনমুনকে চিত্তরঞ্জন ঘাটে নিয়ে আসে। ঘাটে আগে থেকেই রাসেল, সাইফুল এবং রাহুল উপস্থিত ছিল। পরে তারা একটি নৌকা ভাড়া করে নদীতে ঘুরতে যায়। নৌকায় রাসেল, নেছার,সাইফু ও রাহুল মুনমুনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে মুনমুন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তারা মুনমুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনার পরদিন ১৮ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় গত বছরের ১৮ এপ্রিল পুলিশ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলার আসামীরা হলো বন্দর চৌড়াপাড়া এলাকার মৃত মহিউদ্দিন ওরফে মফিজের ছেলে নেছার আলী (৫২), আরামবাগ এলাকার মৃত হোসেন প্রধানের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২২), চৌরাপাড়া এলাকার মিন্টুর ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২০) এবং হুমায়ূন কবিরের ছেলে রাহুল (২৪)।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!