গণধর্ষণ শেষে চলন্ত ট্রেন থেকে ছুঁড়ে দিলো কিশোরীকে

ঢাকা: প্রথমে অপহরণ ও পরে গণধর্ষণ করা হয়েছে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে। এর পরে চলন্ত ট্রেন থেকেই তাকে নিচে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে ছয় দুর্বৃত্ত। হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছে আহত ওই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহারে।

বিহার প্রদেশের দক্ষিণের লক্ষ্মীসরাই জেলার ওই ঘটনায় ধর্ষণের জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার বলেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা জঘন্য অপরাধ। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। অপরাধীরা কোনো ছাড় পাবে না।

হাসপাতলে ভর্তি হওয়া কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। পরে স্থানীয় একটি স্টেশন থেকে জোরপূর্বক ট্রেনে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয় তাকে। পরের দিন শনিবার (১৭ জুন) ‍কিউল স্টেশনের কাছে রেললাইনে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল ১৪ বছরের ওই কিশোরী। ট্রেন থেকে ফেলে দেয়ার কারণে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে সে। উদ্ধারের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তার।

তবে কিশোরীকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছে স্থানীয় পুলিশ। তাদের মতে, মেয়েটি চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়েছে। স্টেশনে তার খোঁজে স্বজনদের আসতে দেখে সে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েছে। পরবর্তীতে পাটনার সরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাকে ভর্তিতে অন্তত ছয় ঘণ্টা দেরি হয় বলে মেয়েটির পরিবার দাবি করেছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালের শয্যা কম থাকায় ভর্তিতে একটু দেরি হয়েছে।

মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে মেডিক্যাল পরীক্ষা নিশ্চিত করেছে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা