• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গল্পের প্রয়োজনে সাহসী দৃশ্যে কেন নয়?


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১১, ২০১৬, ০৬:০৮ পিএম
গল্পের প্রয়োজনে  সাহসী দৃশ্যে কেন নয়?

উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। গত প্রায় এক বছর যেন নায়িকা বনে গিয়েছিলেন। যে কারণে অন্য সব কাজ বাদ রেখে অভিনয়কেই ধ্যানজ্ঞান করতে হয়েছে তাকে। ‘আয়নাবাজি’ মুক্তির পর এখন সে ব্যস্ততা কেটে গেছে। আবারো নিজের প্রিয় পরিচয় উপস্থাপনা শুরু করেছেন পূর্ণোদ্যমে। সোনালী নিউজের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় নাবিলার। তার সঙ্গে কথা বলেছেন রবিউল কমল।  

সোনালী নিউজ: স্বপ্ন সত্যি হলো, তো নিজেকে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য কী ভাবছেন?
নাবিলা: হ্যাঁ, স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। কিন্তু নিজেকে আরো শাণিত করতে হবে। অপেক্ষায় আছি, ভালো কোনো কাজের সুযোগের। আরেকটি ভালো কাজ দিয়েই নতুন যাত্রা, নতুন প্রস্তুতি নিতে চাই। এখন দেখি ভালো কাজ পাই কিনা।

সোনালী নিউজ: ভালো কাজ নিয়ে এতো সন্দেহ কেন পোষণ করছেন?
নাবিলা: কারণ, যত বেশি সাফল্য, তত বেশি চ্যালেঞ্জ। হয় আমাকে আয়নাবাজির কোয়ালিটিটা রক্ষা করতে হবে, না হয় এর চেয়েও বেশি উপরে যেতে হবে। আমি তো আর এখন চাইলেই নিজেকে নিচে ভাবতে পারব না। আর এ রকম চলচ্চিত্র কয়টা বা হয় বাংলাদেশে! 

সোনালী নিউজ: আপনার স্বপ্ন এবং বাস্তবতার ভেতর কোনো মিল খুঁজে পান?
নাবিলা: তা তো অবশ্যই। যখন বড় পর্দায় শুরু করেছিলাম, তখন জানতাম যে ভালো কিছু করতে হবে। যখন শুটিংয়ের মধ্যে ছিলাম তখনো জানতাম ভালো কিছুই করছি। এরপর প্রথম সাক্ষাতকারেও বলেছিলাম আয়নাবাজি দেখেন, আয়নাবাজি একটা অভিজ্ঞতা হবে। আমি নিশ্চিত ছিলাম, ছবিটি দেখার পর দর্শকের ভেতর এমন অভিজ্ঞতা হবে যে কিছু মানুষ হবে আয়নাবাজি দেখেছে আর কিছু মানুষ হবে আয়নাবাজি দেখেনি। বাংলাদেশ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। এখন তো সেই কথাই সত্যি হলো। 

সোনালী নিউজ: এ ছবিতে নিজের অভিনয়কে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
নাবিলা: আমার অভিনয় ভালো হয়েছে কিনা, জানি না। তবে প্রথমেই দর্শক আমাকে এতটা গ্রহণ করবে তা আশাও করিনি। 

সোনালী নিউজ: এখন বলুন ছোট পর্দা আর বড় পর্দার মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
নাবিলা: সেটা প্রেক্ষাগৃহে গিয়েই বুঝতে পেরেছি। সত্যি বলতে কি, চলচ্চিত্রে আসার পর অনেকেই আমাকে বলত যে এখন থেকে আপনার জীবন বদলে যাবে। খুব যে একটা বদলেছে তা নয়। কিন্তু একটা বড় পরিবর্তন হয়েছে। যেখানেই যাই, সেখানেই মানুষ আমার কাছে আসছে, ছবি তুলছে, ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এটা একবারে নতুন অভিজ্ঞতা আমার জন্য। বড় পর্দার মূল শক্তি হলো, সে সব মানুষকে কাছে টানতে পারে।

সোনালী নিউজ: ছবির একটি দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ট দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। ব্যাপারটি নিয়ে বেশ কথা উঠেছিল। এ ব্যাপারে পাঠকদের কী বলতে চান? 
নাবিলা: আসলে ওই দৃশ্যের ভেতর আরোপিত কিছু ছিল না। এটা গল্পের সঙ্গে সহজভাবে মিলে যায়। অস্বাভাবিক কোনো কিছুই সেখানে দেখানো হয়নি। ছবি দেখার আগে মানুষ অনেক রকম মন্তব্য করেছে। কিন্তু এটি দেখার পর কেউ কিছু বলেনি। 

সোনালী নিউজ: যদি কোনো সাহসী দৃশ্যে আপনার অভিনয়ের প্রস্তাব আসে তখন কী করবেন?
নাবিলা: আমার কথা হচ্ছে, বাণিজ্যিক কারণে অনেক কিছুই হয়। মানুষ বিনোদিতও হতে চায়। এটাকে অন্য চোখে দেখার কারণ নেই। আমি নিজেও সেটা হলে গিয়ে দেখতে চাই। কিন্তু বুঝতে হবে, অভিনেতাকে কোনভাবে উপস্থাপন করলে মানায়। আমি এখনো বলি চলচ্চিত্রে নাচ-গান করব না। কিন্তু আমাকে যদি কোনো নির্মাতা বোঝাতে সক্ষম হন, এই গল্পের মধ্যে এই নাচ-গানটার একটা বিশ্বাসযোগ্যতা আছে, তাহলে আমি করব। আসল কথা হচ্ছে, দর্শক কিন্তু বোকা নয়। তারা সবই বোঝে। অন্তরঙ্গ দৃশ্যের কথা বলছেন তো, এটাও কিন্তু সাহসী একটি পদক্ষেপই। তো গল্প আর চরিত্রের প্রয়োজনে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করব, কেন নয়।

সোনালী নিউজ : সোনালী নিউজের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ
নাবিলা: আপনাকে এবং সোনালী নিউজকে ধন্যবাদ।

আয়নাবাজি ছবির ট্রেইলর...

 

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!