• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
জাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানি

গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন


জাবি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮, ০৭:২৪ পিএম
গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন

অভিযুক্ত ছাত্র কিশোর কুমার দাস

জাবি : গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়েছে আবেদন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্র। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন এক ছাত্রী। হয়রানির বিচার চেয়ে সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

অভিযুক্ত ছাত্রের নাম কিশোর কুমার দাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৪১তম ব্যাচের ছাত্র। তবে তিনি রিপিটার হয়ে এখন ৪৩তম ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস করছেন। পূর্বে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল বলে জানা যায়। তিনি মওলানা ভাসানি হলের আবাসিক ছাত্র, তবে বতমানে হলে থাকেন না।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই ছেলে (কিশোর কুমার) মাদকাসক্ত। সে এর আগে আমার কাছে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেছিল। পরে আমি সেই আবেদন প্রক্টর বরাবর পাঠিয়ে দেই। সে বলে গাঁজা নাকি খুব ভালো জিনিস।

আজও এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। আমি তাদেরকে বলেছি যৌন নিপিড়ন সেলে অভিযোগ করার জন্য। কারণ যৌন নিপীড়নের বিষয়ে বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।’

লিখিত অভিযোগ ওই ছাত্রী বলেন, ‘কিশোর কুমার দাস গতকাল রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে বিভাগের ছাদে আমাকে যৌন হয়রানিমূলক অশালিন কথা বার্তা বলে। এই ঘটনায় প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এই অবস্থায় আমি বিভাগে যাতায়াতের জন্য অনিরাপদ বোধ করছি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠীরা জানায়, সোমবার বিভাগের সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় কিশোর কুমার দাস ফের ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে। পরে সহপাঠীরা কিশোর কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে সে কাপড় কাটার কেচি দিয়ে তাদেরকে মারতে আসে। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাকে গণপিঠুনি দেয়। পরে শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জানতে কিশোর কুমারের ব্যক্তিগত মোবাইলে কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার সহপাঠীরা জানায় সে প্রচুর মাদকাসক্ত হওয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। কার সঙ্গে কি বলে সে নিজেও জানে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকার মো. জুরকারনাঈন বলেন, তাকে আমরা পরীক্ষার হল থেকে গাঁজাসহ ধরে প্রক্টরিয়াল অফিসে নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গাঁজা খুবই উপকারী জিনিস, গাঁজা খেলে আমার পরীক্ষা ভালো হয়। তাই আমাকে গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দিন নতুবা আমাকে শাস্তি দিন। পরে আমরা তাকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন বুঝতে পেরে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চিন্তা করছি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!