• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গাছের পাতায় ডায়াবেটিস নির্মূল!


জেলা সংবাদদাতা নভেম্বর ২২, ২০১৬, ০২:৪২ পিএম
গাছের পাতায় ডায়াবেটিস নির্মূল!

নীলফামারী: ডিমলায় এমন এক ঔষধি গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে যার পাতার রস একটানা ১৫ দিন পান করলে ডায়াবেটিস নিরাময় হয়। ওই গাছের পাতার রস খেয়ে অনেক ডায়াবেটিস রোগীই সুস্থ জীবনে ফিরে গেছেন। এমন দাবি করেছেন ডিমলা উপজেলা সদরের আলম ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকার মৃত তাইজুদ্দিনের ছেলে ডায়াবেটিস রোগী মোজাম্মেল হক সর্দার (৪৮)।

ডিমলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ডায়াবেটিস রোগী মাজহারুল ইসলাম লিটন ও ডিমলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোফাচ্ছেল হোসেনও ওই যাদুকরী ওষুধ সেবন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে মোজাম্মেল হক সর্দার জানান, গেল পাঁচ বছর ধরে তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। দেশের অনেক নামী দামী চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু তার ডায়াবেটিস নির্মূল হয়নি। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেয়ে মাত্রা কিছুটা কমলেও ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলেই আবার বেড়ে যেতো রোগ।

নিরাশ হয়ে পড়া মোজাম্মেল হক তখন নিজেই উদ্যোগী হয়ে বিভিন্ন গাছের লতাপাতার রস পান করতে শুরু করেন। এভাবে চলতে চলতে একবার তিনি যাদুকরি এক গাছের সন্ধান পান। মাত্র ১৫ দিন একটানা সেই গাছের পাতার রস পান করে পরীক্ষাগারে গিয়ে পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন তার ডায়াবেটিস ১৯ পয়েন্ট হতে ৬ পয়েন্টে নেমে এসেছে। পরে তিনি ওষুধ খাওয়া একদম ছেড়ে দেন। বর্তমানে মোজাম্মেল হক সর্দারের ডায়াবেটিস একেবারেই নিয়ন্ত্রণে এবং বলা যায় নির্মূল।

সর্দার বলেন, ‘আমি সুস্থ হওয়ার পর থেকে কয়েকজন ডায়াবেটিস রোগীকে সেই গাছের পাতার রস দিয়েছি। তারা সেই রস খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ।

ডিমলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘আমি মোজাম্মেল হকের তৈরি গাছের পাতার রস খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছি। আমার ডায়াবেটিসের মাত্রা ছিলো ১৯ দশমিক ৭। আমি ডাক্তারি চিকিৎসা করিয়েছি ৯ মাস। ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে আমার ডায়াবেটিসের মাত্রা ছিলো ৯ দশমিক ১০। আর সর্দারের দেয়া গাছের পাতার রস খেয়ে ডায়াবেটিস ৬-এ নেমে এসেছে। আমি এখন ডায়াবেটিস মুক্ত।’ 

একই গল্প ডিমলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোফাচ্ছেল হোসেনেরও। তিনি বললেন, ‘আমি একজন ডায়াবেটিস রোগী। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছি। সর্দারের গাছের পাতার রস খেয়ে এখন পুরোপুরি সুস্থ। আমার ডায়াবেটিস এখন নিয়ন্ত্রণে।’

যাদুকরী ওই গাছের পাতার নাম জানতে চাইলে সর্দার বলেন, ‘আমার কাছে ডায়াবেটিসের রোগী এলে আমি সেই গাছের পাতা এনে দেই। গাছের নাম বলিনা। এই পাতার বিনিময় আমি কোনো টাকা নেই না। তবে কেউ স্বেচ্ছায় দিতে চাইলে নিই। আমার ইচ্ছা শুধু আমার দেয়া গাছের পাতার রস খেয়ে ডায়াবেটিস রোগিদের সুস্থ করা। রোগী সুস্থ হয়েছে শুনলেই আনন্দে বুক ভরে যায়। আমি ডাক্তার কিংবা কবিরাজ নই। তবুও আমার দেয়া গাছের পাতার রস খেয়ে রোগীরা যখন সুস্থ হয় তখন আমার খুব ভালো লাগে। আমি যতোদিন বেঁচে থাকবো ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে এই চিকিৎসা করে যাব।’

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!