• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গুলিতে সাহায্য প্রার্থী নিহত, পদত্যাগ করলেন পুলিশ প্রধান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ২২, ২০১৭, ০৮:০৮ পিএম
গুলিতে সাহায্য প্রার্থী নিহত, পদত্যাগ করলেন পুলিশ প্রধান

পুলিশ প্রধান জেইনি হার্ট্যু

ঢাকা: হেল্প লাইনে পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন এক নারী। পুলিশও এসেছিলন, কিন্তু গাড়ির কাছে যেতেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় নিজেকেও দায়ি ভেবে পুলিশ বাহিনীর প্রধান পদত্যাগ করেছেন। তার ভাষায়, পুলিশ প্রধান হিসেবে নিহত নারীর বিশ্বাস রাখতে পারেন নি তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায়। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে ডেমন্ড নামের এক নারী তার বাড়ির বাইরে অপর এক নারীর চিৎকার শুনতে পান। এটাকে তিনি ধর্ষণের ঘটনা সন্দেহে হেল্প ডেস্ক নম্বরে কল করে পুলিশকে তার ঠিকানা জানান। তারপর ঘুমানোর পোশাকেই তিনি রাস্তায় বেরিয়ে আসেন সাহায্যের আশায়। পুলিশের গাড়ি দেখে সেটিকে থামানোর চেষ্টা করেন তিনি। আর এতেই গাড়ির ভিতরে থাকা দুই পুলিশ কর্মকর্তা ভয় পেয়ে তার পেটে গুলি চালান। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৪০ বছর বয়সী এই যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন বিষয়ের প্রশিক্ষক ডেমন্ড।

ডেমন্ডের পরিবার থেকে নিযুক্ত আইনজীবী বলেন, একজন নিরস্ত্র নারীকে ভয় পেয়ে তার উপর পুলিশের গুলি চালানোটা পুরোপুরিই ‘হাস্যকর’ একটি ঘটনা। আর পুলিশের পোশাকের সাথে পরিহিত ক্যামেরাও তখন চালু ছিল না। এমনকি পুলিশের গাড়ির ড্যাশবোর্ডে থাকা ক্যামেরাও ঘটনাটি ধারণ করতে পারেনি।

শহরের মেয়র পুলিশ প্রধানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। পুলিশ প্রধান জেইনি হার্ট্যু তার বিদায়ী বক্তব্যে ডেমন্ডের মৃত্যু নিয়ে বলেন, এটা ঘটা উচিত হয়নি। ডেমন্ডের মৃত্যুতে তার জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল এটিকে ‘বাকরুদ্ধকর’ এবং 'ভয়াবহ হত্যা' বলে অভিহিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই হত্যার ঘটনার জবাব চেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ঘটনায় উপস্থিত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হ্যারিটি এবং নূরকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ডেমন্ডের উপর গুলি চালানো সেই পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর তদন্তের জন্য সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করেছেন। তার মতে, এটি তার আইনি অধিকার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!