গৃহশিক্ষিকার পরকীয়া ফাঁস কারায় ছাত্রীকে ‘যৌনপীড়ন’

পিরোজপুর: কথায় আছে, ‘রক্ষক যখন ভক্ষক হয়, তখন তা হয় ভয়ঙ্কর’। ঠিক তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। গৃহশিক্ষিকার পরকীয়া প্রেমের কথা ফাঁস করায় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন শিক্ষিকা। তার বিরুদ্ধে ওঠে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ।

গত ৪ মার্চ রাতে নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষিকাসহ দু'জনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এসআই রমিজ জাহান জুম্মা বলেন, 'স্কুলছাত্রীর যৌন নিপীড়নের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা আত্মগোপন করায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।'

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে প্রতিবেশী আবদুর রহিম হাওলাদারের স্ত্রী কহিনুর বেগমের কাছে নিয়মিত প্রাইভেট পড়তে যায় ওই ছাত্রী। কহিনুরের স্বামী ঢাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসা করায় ওই ছাত্রী রাতে নিয়মিত তার ঘরেই ঘুমাতো।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে দেবর জসিমের সঙ্গে কহিনুরের ঘুমিয়ে থাকতে দেখে ফেলে ওই স্কুলছাত্রী। সকালে বিষয়টি কহিনুর বেগমের শ্বশুর আবদুল কাদের হাওলাদার ও শাশুড়ি সালেহা বেগমের কাছে জানালে তারা পুত্রবধূকে গালমন্দ করেন।

এতে কহিনুর বেগম তার ছাত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। কয়েকদিন পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কৌশলে ঘুমানোর কথা বলে ছাত্রীকে ফের বাড়িতে ডেকে নেন। রাতে ঘুমের মধ্যে তার গোপনাঙ্গে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করেন। ভয়ে লজ্জায় স্কুলছাত্রী বিষয়টি কারো কাছে প্রকাশ করেনি। এভাবে কেটে যায় প্রায় এক মাস। এক পর্যায়ে ক্ষতস্থান আক্রান্তের কারণে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি অভিভাবকদের জানায়।

শনিবার (৫ মার্চ) সকালে অসুস্থ ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই