• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আ. লীগের ২০তম সম্মেলন

গৃহহীনদের ঘর বানিয়ে দেব : প্রধানমন্ত্রী


বিশেষ প্রতিনিধি অক্টোবর ২২, ২০১৬, ০৩:৫৩ পিএম
গৃহহীনদের ঘর বানিয়ে দেব : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা : দরিদ্র ও গৃহহীনদের ঘর তৈরি ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শনিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের ২০তম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। বক্তব্য শেষে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজ নিজ এলাকায় আপনারা দরিদ্র ও গৃহহারা মানুষের তালিকা বানান। তাদের জন্য ঘর বানিয়ে দেব, জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দেব। এ কাজ করতে পারলে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে দারিদ্র্য বলতে কিছু থাকবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করবো, দারিদ্রের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনবো। প্রতিটি মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। পুষ্টিহীনতা দূর করবো। শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবে। পঁচাত্তরে পরিবারের ১৮ সদস্যকে হারাই। তিন বছর না পেরোতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। যারা তাকে বাঁচাতে এসেছিলেন, তাদেরও হত্যা করা হয়। আজ আমার এ বেঁচে থাকা অনেক কষ্টের, অনেক দুঃখের।’

তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। এখানেই ঘাতকরা থামেনি, তারা ২১ আগস্ট আইভি রহমানসহ আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করে। তবু নিজেদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আ.লীগকে এগিয়ে নিচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উপমহাদেশের প্রাচীন সংগঠনগুলোর মধ্যে আ.লীগ অন্যতম। যতটুকু অর্জন এসেছে সবই আ.লীগের দান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এখানে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তার ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েই বাংলার মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভারত ও ভুটানসহ প্রতিবেশি সকল দেশ সহযোগিতা করেছিল বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর অবৈধভাবে মার্শাল ল চালু করে ক্ষমতায় যায় একটি গোষ্ঠী। শুরু হয় সামরিকতন্ত্র। অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কারণেই ২১ বছর পর আ.লীগ ক্ষমতায় আসে। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে ওঠার অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। আমি জাতির পিতা থেকে শিক্ষা নিতে পেরেছি, দেখেছি তিনি কিভাবে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাই গণমানুষের জন্য আমি দেশে ফিরে আসি। আমি ঘুরে দেখেছি মানুষের হাহাকার। দেখেছে কুঁড়েঘরের জীবন।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের কোনো স্থান হবে না। আমরা টেরোরিজম প্রশ্রয় দেব না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছি, যাব। আমাদের সিদ্ধান্ত, এ ভুখণ্ড কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহার করতে দেব না। এ দেশকে আমরা বিশ্বের বুকে শান্তির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্রমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!