• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গোয়েন্দা নজরদারিতে মেজর জিয়া


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৭, ২০১৭, ১০:৫৯ পিএম
গোয়েন্দা নজরদারিতে মেজর জিয়া

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা জঙ্গি মেজর জিয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। গোয়েন্দারা তার গতিবিধি নজরদারি করছে। আশা করছি যেকোনো সময় সে নেটওয়ার্কে এসে যাবে। ষড়ষন্ত্রকারীরা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। গোয়েন্দারা তাদের দমনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। ক্র্যাব সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সব সময়ই তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সফলতা এসেছে। শীর্ষ জঙ্গিরা অনেকেই ধরা পড়েছে। অভিযানকালে অনেকেই নিহত হয়েছে। এখনো যাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি, তাদের ধরতে পুলিশ ও গোয়েন্দারা তৎপর রয়েছে। জেএমবি নেতা জিয়াকে গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে। জিয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছে। তার গতিবিধি প্রতিনিয়ত নজরদারি করা হচ্ছে। আশা করছি যেকোনো সময় সে নেটওয়ার্কের মধ্যে চলে আসবে।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা দমন সরকারের চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি ও অন্যান্য সন্ত্রাসীরা প্রতিদিনই অপরাধ সংঘটনের কৌশল পাল্টাচ্ছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যদেরও চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করাই আমাদের প্রধান কাজ। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে সামনের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন ষড়ষন্ত্রকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্নভাবে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের ধরতে পুলিশকেও কৌশল নিতে হচ্ছে। পুলিশ ও অন্যান্য  গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিজেদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ করে অপরাধ দমনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

গত তিন বছরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার সফলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আমার কাজের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আমি স্বাধীনভাবে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি। গত তিন বছরে প্রধানমন্ত্রী কোনো অপরাধীকে ছেড়ে দেয়ার জন্য একটিবারও আমাকে টেলিফোন করেননি। অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন। এই নির্দেশনা আমাকে অপরাধ দমনে শক্ত অবস্থান নিয়ে কাজ করতে সহায়তা করেছে।

ভুয়া ক্রাইম রিপোর্টারদের দৌরাত্ম প্রতিরোধে পরিচয়পত্র তৈরির পরামর্শ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ক্রাইম রিপোর্টাররা অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু ভুয়া ক্রাইম রিপোর্টারদের কারণে অনেক সময় প্রকৃত ক্রাইম রিপোর্টারদেরও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না হতে পেরে পুলিশের সঙ্গেও অনেক সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ক্র্যাব  সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্ত সংবলিত পরিচয়পত্রের ফটোকপি থাকলে তাদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য আইজিকে নির্দেশনা দেয়া হবে। এতে প্রকৃত ক্রাইম রিপোর্টাররা নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম 

Wordbridge School
Link copied!