• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গৌরীপুরে গুলশা মাছে মড়ক, পুঁজি হারাচ্ছে চাষীরা


গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি নভেম্বর ২৫, ২০১৬, ১১:৫৩ এএম
গৌরীপুরে গুলশা মাছে মড়ক, পুঁজি হারাচ্ছে চাষীরা

গৌরীপুরে মরে যাওয়া গুলশা মাছ

ময়মনসিংহ: জেলার গৌরীপুরে চাষ করা গুলশা মাছে অজ্ঞাত রোগ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই পুকুরে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার গুলশা মাছ। বিশেষজ্ঞরা এ রোগের কারণ নির্ণয় ও প্রতিকারের উপায় বের করতে না পারায় ইতোমধ্যে কয়েক লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে স্থানীয় মৎস্যচাষীরা।

বিশেষ করে যে সকল মৎস্যচাষী ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছেন, আর্থিক ভাবে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এদিকে মাছ চাষীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন মাছের খাদ্য ও ওষুধ ব্যাবসায়ীরাও। কারণ তারা স্থানীয় অনেক মৎস্য চাষীকে মাছের পোনা থেকে শুরু করে মাছের খাদ্য ও ওষুধ বাকিতে সরবরাহ করেছেন। মাছ বিক্রি করে মৎস্যচাষীরা তাদের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিলো। কিন্তু এ বছর চাষীদের গুলশা মাছ বাজারজাত করার আগেই পুকুরেই মারা যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এই ব্যবসায়ীরা।

গৌরীপুরে মরে যাওয়া গুলশা মাছ

উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের গুজিখাঁ, নওয়াগাঁও, ভবানীপুর ও পৌর শহরের সতিষা গ্রামে গুলশা মাছ চাষীদের পুকুর ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পুকুরেই মাছ মরে ভেসে উঠতে। মাছ রক্ষায় চাষীরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। গত কয়েক দিনে উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের গুজিখাঁ গ্রামের সাহেদ আলীর প্রায় ৬০ হাজার, মো. আল আমিনের প্রায় ৮০হাজার, জাকির হোসেনের প্রায় ৩০হাজার, আব্দুস সালামের প্রায় ২৫হাজার ও তার ভাই গোপাল মিয়া মুনশীর প্রায় ২০হাজার, নওয়াগাঁও গ্রামের নুরুল হকের প্রায় ২৫হাজার, মো. সামছুল হকের প্রায় ২৪হাজার, সতিশা গ্রামের সাইদুল ইসলামের প্রায় ১লাখ, পৌর কাউন্সিলার আতাউর রহমান আতার প্রায় ৮০হাজার, নওয়াগাঁও গ্রামের আবুল হকের প্রায় ২৫হাজার, গুজিখাঁ গ্রামের আবুল হকের প্রায় ৩০হাজার, সতিশা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের প্রায় ৪০হাজার, মুখলেছুর রহমানের ২২হাজার, তোতা মিয়ার ২৭হাজার এবং ভবানীপুর গ্রামের মো. নয়ন মিয়ার প্রায় ৩৫হাজার গুলশা মাছ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। চাষীরা অবশিষ্ট মাছ রক্ষায় দোকানী ও প্রতিবেশী চাষীদের পরামর্শে নানা রকম ওষুধ দিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও মাছের মড়ক ঠেকাতে পারছে না।

গৌরীপুরে মরে যাওয়া গুলশা মাছ

এদিকে গুলশা মাছের মড়কের খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম সানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে গৌরীপুরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জান্নাত-এ-হুর, গৌরীপুর মৎস্য বীজ প্রজনন কেন্দ্রের খামার ব্যবস্থাপক সুকুমার রায় ও ক্ষেত্র সহকারী মো. শামছুল হক ক্ষতিগ্রস্থ পুকুর পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জান্নাত-এ-হুর বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পুকুর পরিদর্শন করে মৃত-অর্ধমৃত মাছ ও পানি সংগ্রহ করে রোগ নির্ণয়ের জন্য ময়মনসিংহ স্বাদু পানি গবেষণা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!