• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘গ্যাস চেম্বার’ দিল্লিকে স্বস্তি দিতে নির্দেশ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ৭, ২০১৬, ০৬:১৩ পিএম
‘গ্যাস চেম্বার’ দিল্লিকে স্বস্তি দিতে নির্দেশ

ঢাকা: গত প্রায় দেড় যুগে এমন ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়তে হয়নি ভারতের রাজধানী দিল্লিকে। এমন দূষণ আগে খুব কমই দেখা গেছে দিল্লির মতো জনবহুল কোনো রাজধানীতে। সম্প্রতি ভয়াবহ দূষণের কারণে দিল্লিকে ‘গ্যাস চেম্বার’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।

ওই ঘোষণার পর সোমবার (৭ নভেম্বর) গ্যাস চেম্বার থেকে মুক্তি পেতে চারটি নির্দেশনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হবে আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর)।

সোমবার তড়িঘড়ি করে দেয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা চারটি হচ্ছে- ১। ডিজেল-চালিত জেনারেটরের ব্যবহার আপাতত দশ দিনের জন্য বন্ধ ২। ঘরবাড়ি তৈরি বা সংস্কারের কাজ করা যাবে না আগামী পাঁচ দিন ৩। দশ দিন বন্ধ থাকবে বদরপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ৪। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শহর পরিষ্কার করার পাশাপাশি উড়ন্ত ধুলোর কণা রুখতে জলও ছেটানো হবে রাস্তাঘাটে।

এর আগে রোববার (৬ নভেম্বর) বন্ধ হয়ে যায় রাজধানী দিল্লির শতাধিক সরকারি-বেসরকারি স্কুল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আরও তিনদিন। কেননা সরেনি ধুলোর চাদর। রঞ্জি ট্রফির দু’টি ম্যাচ রোববার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে। বাংলা বনাম গুজরাত এবং হায়দরাবাদ বনাম ত্রিপুরা। ধোঁয়াশার দাপটে প্রথম দিনের খেলা শুরুই করা যায়নি। শ্বাসকষ্ট থেকে বাঁচতে মুখোশ পরে থাকতে হয়েছিল মনোজ তিওয়ারিদের। সোমবার সেই দু’টি ম্যাচই বাতিল ঘোষণা করেছে বোর্ড।

কেজরীবাল দিল্লিবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন, প্রয়োজনে বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করুন। ধোঁয়াশার জেরে ভরদুপুরেই নেমে আসছে সন্ধ্যা। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় কিছুটা হাল্কা দিল্লির চেনা যানজটও। আর পথচারীদের মুখ ঢাকা মুখোশে। নানা নকশার মুখোশ নব্বই থেকে দু’হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে দোকানে-দোকানে। গত এক সপ্তাহে বেড়েছে এয়ার-পিউরিফায়ার বিক্রিও।

রোববার দিল্লিকে ‘গ্যাস চেম্বার’ হিসেবে অবিহিত করে কেজরীবাল বলেছিলেন, পড়শি রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ফসল তোলার পর সেখানে শুকনো খড় পোড়ানো হচ্ছে। দূষণ বাড়ছে তা থেকেও। দূষণমুক্তির পথ খুঁজতে সোমবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। সেই বৈঠক শেষে কেজরীবাল বলেন, ‘দিল্লির দূষণ নিয়ে রাজনীতি করার বদলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করতে হবে। দূষণ ইতোমধ্যেই মাত্রা ছাড়িয়েছে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সেই জরুরি পদক্ষেপের ফল ওই চার দফা নির্দেশিকা।

এদিকে, শুধু দিল্লি নয়, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এ দিন গাড়ি দুর্ঘটনায় হরিয়ানার কার্নালে মৃত্যু হয়েছে এক নারীসহ তিন জনের। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়ার অন্যতম কারণ আর্দ্রতা। ভাসমান দূষিত কণাগুলি আর্দ্রতার জন্য জমাট বেঁধে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা। তবে বিশেষজ্ঞদের আশা, সোমবারের পর শুকনো উত্তুরে হাওয়া বয়ে আসবে দিল্লিতে। তখন খানিকটা বদলাতে পারে পরিস্থিতি।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!