• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রামে চাহিদা বাড়ছে কৃষি ঋণের


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জুলাই ২৭, ২০১৭, ০৬:৪৭ পিএম
গ্রামে চাহিদা বাড়ছে কৃষি ঋণের

ঢাকা: প্রতি বছরই ব্যাংক খাত থেকে কৃষি ও পল্লী ঋণ নেয়ার পরিমাণ বেড়েই চলছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করে দেয়া ঋণের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করছে গত দুই বছর ধরে। সর্বশেষ গত বছরও লক্ষ্যের চেয়ে ১৯ শতাংশের বেশি ঋণ নেয়ার পরিমাণ বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরও গতবারের বিতরণকৃতের চেয় ১৬.২৪ শতাংশ বেশি ঠিক করে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লীঋণ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বার্ষিক নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার(২৭ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এ নীতিমালা ঘোষণা করেন ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান। 

এসময় তিনি বলেন, কৃষি ও পল্লী খাতে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে আয়ের বৈষম্য দূর করতে ভূমিকা রাখবে।

বার্ষিক কৃষি ও পল্লী ঋণ ণীতিমালা ঘোষণা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর(ডিজি )এস এম মনিরুজ্জামান

নীতিমালায় বলা হয়, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৬.২৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ২০ কোটি এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) ৭২০ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করবে।

গত অর্থবছরে ২০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। এ ঋণ সুবিধা পেয়েছেন ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩৫ জন। আলোচ্য সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। নীতিমালা অনুযায়ী, বর্তমানে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ হারে ঋণ পাবেন কৃষকরা। এছাড়া শস্য/ফল চাষের জন্য সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট ও সিআইবি অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়বে না।

নীতিমালা ঘোষণার সময়ে বাংলাদেশে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/তালেব

Wordbridge School
Link copied!