• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রিজমানের জোড়া গোলে ফাইনালে ফ্রান্স


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ৮, ২০১৬, ০৮:১৩ এএম
গ্রিজমানের জোড়া গোলে ফাইনালে ফ্রান্স

বেশিরভাগ সময় আধিপত্য বজায় রেখেও পারল না জার্মানি। অঁতোয়ান গ্রিজমানের জোড়া গোলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স। মার্সেইয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ২-০ গোলে জেতা স্বাগতিকদের জন্য ফাইনালে অপেক্ষায় আছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।

ম্যাচের সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার ভালো একটি সুযোগ পায় ফ্রান্স। ডি-বক্সের ভেতর থেকে গ্রিজমানের নিচু কোনাকুনি শট শরীর সবটুকু প্রসারিত করে ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার।

ধীরে ধীরে প্রথমার্ধের খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জার্মানি। ত্রয়োদশ মিনিটে একটু কঠিন সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি জার্মান ফরোয়ার্ড টমাস মুলার। পরের মিনিটে এমরে কানের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যেই ছিল। এবার ডানে ঝাঁপিয়ে তা ঠেকান ফরাসি গোলরক্ষক উগো লরিস।

জার্মানি একের পর এক আক্রমণ চালালেও প্রথমার্ধে গোল পায়নি; বরং শেষ পাঁচ মিনিটে কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে স্বাগতিকরা। ৪২তম মিনিটে পাট্রিস এভরার পাসে অঁতোয়ান গ্রিজমানের শট সাইড নেটে জড়ায়।

পরের মিনিটে অলিভিয়ে জিরুদের স্বার্থপরতায় এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগটি নষ্ট হয়। বল নিয়ে গোলমুখে এগিয়ে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা গ্রিজমানকে পাস দেননি আর্সেনালের এই ফরোয়ার্ড। এই সুযোগে বল বিপদমুক্ত করেন বেনেডিক্ট হুভেডেস।

অবশেষে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টিতে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন গ্রিজমান। নয়ারকে উল্টো দিকে পাঠিয়ে বাঁ দিক দিয়ে বল জালে পাঠান আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড। বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগারের হাতে বল লাগায় স্পটকিকের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।

বিরতির পর সমানে সমান খেলতে থাকে ফ্রান্স। ৭২তম মিনিটে গ্রিজমানের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান দ্বিগুণও করে ফেলে স্বাগতিকরা। রাইট ব্যাক জসুয়া কিমিচের ভুলে ডি-বক্সে বলের দখল পান পল পগবা। তারকা এই মিডফিল্ডারের ক্রস নয়ার বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বুটের টোকায় টুর্নামেন্টে নিজের ষষ্ঠ গোলটি করেন গ্রিজমান।

৭৪তম মিনিটে কিমিচের দূরপাল্লার শট ক্রসবারে লাগলে ব্যবধান কমানো হয়নি জার্মানির। দুই মিনিট পর ইউলিয়ান ড্রাক্সলারের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া ফ্রি-কিকও একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৮৬তম মিনিটে নয়ার বরাবর শট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগটি নষ্ট করেন গ্রিজমান। যোগ করা সময়ে কিমিচের হেড দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে ফ্রান্সকে গোল খেতে দেননি লরিস।

১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের পর প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে জার্মানির বিপক্ষে এই প্রথম জিতল ফ্রান্স। আগামী রোববার সাঁ-দেনির ফাইনালে ঠিক হবে কে হবে ইউরোপ সেরা। গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের মতো আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন রোনালদো-গ্রিজমান।

এবারের আসরে তিন গোল করে গোলদাতাদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন রোনালদো। ৬ গোল করে টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বুট পাওয়ার দিক থেকে এগিয়ে গ্রিজমান। ইউরোর এক আসরে তার চেয়ে গোল বেশি কেবল স্বদেশি মিশেল প্লাতিনির। ১৯৮৪ সালে নয় গোল করেছিলেন ফ্রান্সের এই ফুটবল কিংবদন্তি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!