• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় মোরা: সাতক্ষীরায় ১৩২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মে ৩০, ২০১৭, ১০:১১ এএম
ঘূর্ণিঝড় মোরা: সাতক্ষীরায় ১৩২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ১৩২টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়াহয়েছে। উপকূলবর্তী গ্রামগুলোতে লাল পতাকা উড়িয়ে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। জেলায় ৮ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। খুলে রাখতে বলা হয়েছে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন জানান, সুন্দরবনে মাছ ধরা ট্রলার ও মধু আহরণকারীদের দ্রুত উপকূল এলাকায় ফিরে আসতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন আরো বলেন,  প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোন দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে সাতক্ষীরায় ৮ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির সব ইউনিয়নে মাইকিং করে জনসাধারণের সতর্ক করা হচ্ছে। ঘুর্ণিঝড়ের সময় করণীয় প্রচার করা হচ্ছে। শ্যামনগরে ২ হাজার ও আশাশুনিতে ১ হাজার ৩শ স্বেচ্ছাসেবককে সতর্ক রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ঔষধপত্রও মজুদ রাখা হয়েছে। বিপদসংকেত আরো বৃদ্ধি পেলে গ্রামবাসীকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আলাদা আলাদা মেডিকেল দল গঠন করা হয়েছে। শুকনো খাবার ও প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য যানবাহন রাখা হয়েছে। বিশেষ করে নৌ-যানগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুই উপজেলার সাইক্লোন সেল্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। সকালে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় সতর্ক করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষদের সহায়তা দেয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা বলেন, তার এলাকার সব আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে গ্রামবাসীকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!