• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


কক্সবাজার প্রতিনিধি মে ২৯, ২০১৭, ০৮:০৫ পিএম
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ারে কক্সবাজারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ মে) বিকেলে জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় পানি লোকালয়সহ বসতবাড়িতেও ঢুকে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে কয়েক শ ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে হাজারো মানুষ।

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসার জন্য প্রচারণা চালানো হলেও এখনো কাউকে আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে আসতে দেখা যায়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, মোরা’র প্রভাবে ভোর রাতে মাঝারি ও হালকা বৃষ্টি হলেও সোমবার (২৯ মে) সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

এরপ্রভাবে সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জোয়ারে পানির উচ্চতা ৪ থেকে ৫ ফুট বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, দুপুরে জোয়ারের সময় সাগরে ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় শহরের সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক, ফদনারডেইল ও কুতুবদিয়া পাড়ার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

তাছাড়া কুতুবদিয়া, চকরিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফেও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র বিপদ সংকেত দেখানোর পর সাগরে অবস্থানরত অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিলেও এখনও বেশশকিছু ট্রলারকে সাগরে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

তিনি আরো জানান, এসব ট্রলারকে ফিরিয়ে আনতে কোস্টগার্ডের সহায়তায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ও টেকনাফ উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিক মিয়া বলেন, মোরা’র প্রভাবে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম অংশের ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে সয়লাব হয়েছে আটটির বেশি গ্রাম। আড়াই বছর ধরে এখানে কোনো প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ নেই। এ এলাকার ভাঙা বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার গত বছর ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও এ পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি।

অন্যদিকে জোয়ারের ধাক্কায় উপজেলার খুরেরমুখ, সাবরাং, আছারবনিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আরো কয়েক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এতে উপকূলের হাজার হাজার মানুষ উদ্বিগ্ন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএই্চএম

Wordbridge School
Link copied!