ঢাকা: স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের জন্য ঢাকায় একটি ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সংসদে তিনি জানান, ঘৃণা স্তম্ভ নির্মাণে এরইমধ্যে স্থাপত্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে স্থাপত্য নকশার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী আরো জানান, শিগগিরিই নকশাটি চূড়ান্ত করা হবে এবং প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। তবে রাজাকারদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে বেসরকারিভাবে জনগণের কাজে লাগানোর আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।
এমপি রওশন আরা মান্নানের এক প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করে সঠিক তালিকা তৈরির জন্য হার্ডকপি বা অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সহায়তার জন্য প্রতিটি উপজেলায় যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এখনও যাচাই-বাছাই সম্পূর্ণ শেষ হয়নি।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী জানান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ পরিচয়পত্র প্রদর্শন পূর্বক রেলওয়েতে প্রথম শ্রেণিতে বিনা ভাড়ায় যাত্রায়াতের সুবিধা পেয়ে থাকেন। বিমানের অভ্যন্তরীণ প্রতি রুটে (যাতায়াত) বছরে একবার এবং আন্তর্জাতিক যে কোনো রুটে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এছাড়া বিনা ভাড়ায় বিআরটিসি বাসে, বিআইডব্লিউটিএর জলযানে প্রথম শ্রেণিতে যাতায়াত করতে পারেন। একইসঙ্গে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ও হোটেলে স্ব-পরিবারে সর্বোচ্চ ২ রাত বিনা ভাড়ায় বছরে একবার থাকার সুবিধা পেয়ে থাকেন।
সোনালীনিউজ/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :