• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চটেছে ট্রাম্প, জাতিসংঘে অর্থায়ন কমাবে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭, ১২:১০ পিএম
চটেছে ট্রাম্প, জাতিসংঘে অর্থায়ন কমাবে

ঢাকা: জেরুজালেম ইস্যুতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিকাংশ সদস্য ভোট দেয়ায় বেশ চটেছেন তিনি। জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে ভোট দিলে ‘দেখে নেওয়া হবে’, আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তা সত্ত্বেও জাতিসংঘের বেশির ভাগ সদস্যরাষ্ট্র ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

এর পরপরই জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি গত রোববার রাতে জানালেন, আগামী অর্থবছরে জাতিসংঘে অর্থায়ন ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার কমাবে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের বাজেট বরাদ্দে আরও কাটছাঁট করা হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

গত রোববার জাতিসংঘের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়। সদস্যরা আগামী অর্থবছরের জন্য ৫৪০ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেট করার বিষয়ে সম্মত হয়।

নিকি হ্যালি বলেন, জাতিসংঘের অদক্ষতা ও অপচয়ের কথা কারো অজানা নয়। মার্কিনদের উদারতার সুযোগ নিতে আর দেয়া হবে না। এ সময় তিনি বিশ্ব সংস্থাটিতে বাজেট বরাদ্দ কমানোর কৃতিত্ব নেন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বাজেটে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর জাতিসংঘে প্রায় ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলার দেয়, যা সংস্থাটির বাজেটের প্রায় ২২ শতাংশ।

উল্লেখ্য, জেরুজালেম মুসলমান, খ্রিষ্টান ও ইহুদি—এই তিন ধর্মাবলম্বীর কাছে পবিত্র শহর। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাজধানী করতে চায়। কিন্তু ১৯৬৭ সাল থেকে তা ইসরায়েলের দখলে আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি মাসের শুরুতে পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। 

পাশাপাশি তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরানোর কথা বলেন। এতে আন্তর্জাতিক বিশ্বে নিন্দা এবং মুসলিম বিশ্বে বিক্ষোভের ঝড় ওঠে। এর জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি বাতিলে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের দ্বারস্থ হয় ফিলিস্তিন। সাধারণ পরিষদে ১২৮টি সদস্যরাষ্ট্র এতে সমর্থন জানায়। ৩৫টি সদস্যরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত থাকে। সাধারণ পরিষদে ভোটের আগ দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘তারা আমাদের বিরুদ্ধে ভোট দিক। আমরাও তাদের দেয়া সহায়তা থেকে যথেষ্ট অর্থ বাঁচাব।’ একইভাবে সতর্ক করেছিলেন নিকি হ্যালিও।

জাতিসংঘ মিশনের ভাষ্য অনুযায়ী, বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ কমানোর মধ্যে সফর ও উপদেষ্টা বাবদ এবং এর পরিচালন ব্যয় বেশি কমানোর কথা বলা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!