• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঘূর্ণিঝড় মোরা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৯, ২০১৭, ১২:১৫ পিএম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

ঢাকা: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। যত সময় যাচ্ছে আর এর প্রভাব ততই বাড়ছে। এজন্য আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে সাত নম্বর এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে পাঁচ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে সকল প্রকার পণ্য উঠা-নামা বন্ধ রয়েছে, সেই সাথে জেটি থেকে জাহাজ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো সাত নম্বর সংকেতের আওতায় থাকবে। 

এছাড়া পায়রা ও মংলা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এই সংকেত ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতেও প্রযোজ্য হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হওয়ার পর মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৭ নম্বর বিপদ সংকেতের মানে হল, সাগরে মাঝারি শক্তির একটি ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসছে, যেখানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷

৫ নম্বর বিপদ সংকেতের মাত্রা ৭ নম্বরের সমান, তবে দিক ভিন্ন। অর্থাৎ, সরাসরি পায়রা ও মংলার দিকে না এসে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে এই দুই বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মংলা থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫১০ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল মোরা। ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।

সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং পরদিন তা ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’য় রূপ নেয়। পরে সেটি দক্ষিণপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!