• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রাম নগর আ.লীগে ঐক্যের সুর: মহিউদ্দিনের ঘরে লতিফ


চট্টগ্রাম ব্যুরো মার্চ ২০, ২০১৮, ০৫:১৭ পিএম
চট্টগ্রাম নগর আ.লীগে ঐক্যের সুর: মহিউদ্দিনের ঘরে লতিফ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বেঁচে থাকতে তার ঘরে জায়গা ছিল না বন্দর আসনের এমপি এমএ লতিফের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতি, ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) নিয়ন্ত্রণ, চট্টগ্রাম বন্দর ইত্যাদি ইস্যুতে এই সংসদ সদস্যের সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক ছিল মহিউদ্দিনের। 

দলীয় রাজনীতিতেও দুজন ছিলেন দুই মেরুতে। গত রোববার (১৮ মার্চ) মহিউদ্দিন চৌধুরীর ত্রৈমাসিক জিয়াফত অনুষ্ঠানে এমপি লতিফের সরব উপস্থিতি নিয়ে নগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর চশমাহিলস্থ বাসভবনে অনুষ্ঠিত মেজবানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হলেও আলোচনায় উঠে আসে মহিউদ্দিনপুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে লতিফের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি। এটি নিয়ে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নতুন আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলেও ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জিয়াফত অনুষ্ঠানে বন্দর আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, বোয়ালখালী আসনের সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদলসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে বেশ আন্তরিক পরিবেশে সময় কাটাতে দেখা গেছে এমএ লতিফকে। বিষয়টি নিয়ে ওই বাড়িতে চলছিল নানা আলোচনা। কারণ এ বাড়িতে বেশ কয়েক বছর ধরেই ‘নিষিদ্ধ’ ছিলেন লতিফ। 

অনুষ্ঠানে এমএ লতিফ এমপি সাংবাদিকদের বলেন, মহিউদ্দিন ভাই বেঁচে থাকতে গ্রুপিংয়ের কারণে আমি দূরে ছিলাম। কিন্তু মহিউদ্দিন ভাইয়ের ছেলে নওফেল ও সালেহীনের আচরণ মার্জিত। তারা অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের জন্য যে অবদান রেখেছেন তা অন্য কোনো আওয়ামী লীগ নেতার আছে বলে আমি মনে করি না। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা অতীতেও ছিল, এখনো আছে। আজকে যদি মহিউদ্দিন ভাই বেঁচে থাকতেন আওয়ামী লীগের ২১ মার্চের জনসভা পটিয়াতে হতো না। যেকোনোভাবেই তিনি নেত্রীকে বুঝিয়ে চট্টগ্রাম শহরেই জনসভা করতেন। এটি চট্টগ্রামের নেতাদের ব্যর্থতা। 

লতিফের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের বলেন, আমি কোনো গ্রুপিংয়ে বিশ্বাস করি না। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। আমিও একই কমিটির সদস্য। কারো সঙ্গে কেন আমরা শত্রুতা করব? সামনে নির্বাচন। নৌকা প্রতীককে জয়ী করতেই আমাদের কাজ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেবেন আমরা তার পক্ষে কাজ করব।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!