• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম-মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৭, ২০১৬, ০২:৫৮ পিএম
চট্টগ্রাম-মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে

চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি সই হচ্ছে। এ লক্ষ্যে নৌসচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে লাইট হাউজেস ও লাইট শিপস (নৌরুটে বয়া, বাতি নির্মাণ), কোস্টাল ও প্রটোকল রুটে যাত্রী ও ক্রুজ সার্ভিস, পায়রা বন্দরে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আরো নৌযোগাযোগ বাড়ানোর বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ বৈঠকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়। আর ভারত প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সে দেশের নৌপরিবহনসচিব রাজীব কুমার।

বৈঠকের শুরুতে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহনসচিব অশোক মাধব রায় বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার, পায়রা বন্দরে টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে, কোস্টাল ও প্রটোকল রুটে যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে। তিনি জানান, পায়রা বন্দরে টার্মিনাল নির্মাণের ব্যাপারে ভারতের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে।

ওই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের নৌপরিবহনসচিব রাজীব কুমার বলেন, ইন্ডিয়া পোর্ট গ্লোবাল নামের ভারতের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠানের পায়রা বন্দরে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য অর্থায়নে আগ্রহ আছে। দুই দেশ আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করবে।

চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ভারত কখন থেকে ব্যবহার করতে চায়— জানতে চাইলে রাজীব কুমার জানান, ‘দুই পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে যত শিগগিরই সম্ভব এটি ঠিক করা হবে। এ মাসেই চুক্তিটি সই হবে বলে আশা করছি।’

কোস্টাল ও ক্রু সার্ভিস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পর্যটকরা যারা জাহাজে করে আসবে তারা মূল ভূখণ্ডে নামতে পারবেন না। তবে জাহাজের ক্রুরা যেন ৭২ ঘণ্টার জন্য ভূখণ্ডের নামতে পারে সে বিষয়ে একটি সমঝোতা হবে। তাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।’

বৈঠকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার, লাইট হাউজেস ও লাইট শিপস (নৌরুটে বয়া, বাতি নির্মাণ), কোস্টাল ও প্রটোকল রুটে যাত্রী ও ক্রুজ সার্ভিস বিষয়, পায়রা বন্দরে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠক শেষে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ ডিসেম্বর তিন দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন। তাঁর এই সফরে উপরিউক্ত তিনটি চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আজ সকালে ঢাকায় শুরু হওয়া দুই দেশের নৌপরিবহনসচিবদের বৈঠক বিকেল পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে সচিবালয় সূত্র।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!