• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চলচ্চিত্রের শাখা-প্রশাখায় মার্টিন স্করসিস


বিনোদন ডেস্ক নভেম্বর ১৭, ২০১৬, ০৮:২৯ পিএম
চলচ্চিত্রের শাখা-প্রশাখায় মার্টিন স্করসিস

ঢাকা: ‘৫৩ বছরের ক্যারিয়ারে ফিল্ম লাইনে হেন কোন কাজ বাকী রাখেননি করতে। তিনি একাধারে সিনেমা বোদ্ধা,অভিনেতা, ভয়েস আর্টিস্ট, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচিয়েতা, প্রযোজক আর সিনেমা পরিচালক। তার মুভিতে যেমন আছে জীবনের গল্প, তেমনি আছে জীবন নামের ফ্যান্টাসির অভূতপূর্ব অনুভূতি যা অনেক বোদ্ধাই মনে করেন। আগে কখনো এত বৈচিত্র্যময় নির্মাতা ফিল্ম লাইনে আসেননি। তার মুভিতে আছে ভায়োলেন্সের ব্যবহার, আছে অন্ধকার অপরাধ জগতের কুৎসিত উপস্থাপন, আছে বিশ্বাসঘাতকতা নামক মানব মনের এক জঘন্য দিকের উন্মোচন।

আবার আছে মানব চরিত্রের অসাধারণ বৈশিষ্ট্য ক্ষমার দারুন ব্যবহার আর উপস্থাপন। তার সঙ্গে জুটি বেধে অনেক অভিনেতাই নিজের ক্যারিয়ারকে দিয়েছেন গতি আর আমরা পেয়েছি দারুন সব সিনেমা। তার পথ অনুসরণ করেই অনেকেই নামী-দামী পরিচালক হয়েছেন। এখনো লাখো মানুষ তার মুভির অপেক্ষায় থাকে।’

এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নির্মাতাকে নিয়ে উপরের কথাগুলো বলছিলেন এক সাধারণ চলচ্চিত্র ভক্ত। যার আমুগ্ধ বিবেচনা বোধের কাছে যেকোনো সিনেবোদ্ধার মূল্যায়ন খুবই ঠুনকো মনে হতে পারে। যাইহোক, যে মানুষটির কথা সিনেপ্রেমি তার ভাষায় বলছিলেন সেই সিনেমার মানুষটির নাম মার্টিন স্করসিস।

যার নাম নিলেই চোখে ভাসে  ট্যাক্সি ড্রাইভার, দ্য ডিপার্টেড, গুডফেলাস, রেজিং বুল, গ্যাংস অফ নিউ ইয়র্ক, দি অ্যাভিয়েটর, শাটার আইল্যান্ড-এর মতো বিশ্ববিখ্যাত কালজয়ী সব চলচ্চিত্রের নাম। বিখ্যাত হওয়ার জন্য একটা দু’টা ছবিই হয়তো যথেষ্ট। কিন্তু মার্টিন স্করসিস এমন এক নির্মাতা যার প্রত্যেকটি নির্মাণই সমান বিখ্যাত, সমান গুরুত্বপূর্ণ। যার সিনেমা মানেই একটা ধাক্কা দেয়া।

ক্যামেরার অসাধারণ কাজ, ফেবুলাস একটা গল্পের বয়ান, পরিমিতি বোধ সবকিছুই পাওয়া যায় এই মহান নির্মাতার ছবিতে। স্করসিসের কাজের ধারা মূলত ইতালিয়-আমেরিকান অস্তিত্ব, পাপবোধ আর মুক্তির ক্যাথলিক ধারণা, পৌরষবোধ আর আমেরিকার সমাজব্যবস্থায় সন্ত্রাসের প্রভাব সংশ্লিষ্ট। তিনি সমালোচকদের মাঝে তার চলচ্চিত্র নির্দেশনার জন্য প্রশংসিত। ২০০৬ সালে অস্কার পাওয়া এই তুখোর নির্মাতা এর আগে ও পরে একাধিকবার অস্কারের জন্য মনোনিত হয়েছেন। তাকে গণ্য করা হয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তি সব মার্কিন চলচ্চিত্র নির্দেশকদের মাঝে একজন অন্যতম প্রধান ও প্রভাবশালী নির্দেশক হিসাবে।

শুধু নির্মাতা হিসেবেই নয়। চলচ্চিত্র প্রযোজক, চিত্রনাট্য লেখক এবং অভিনেতা হিসেবেও সমান কৃতিত্ব তার। গত ৫৩ বছর যাবৎ সিনেমা করে বেড়ানো ১৯৪২ সালের ১৭ নভেম্বর জন্ম নেয়া তুখোর এই নির্মাতাকে শ্রদ্ধা। তিনি বেঁচে থাকুন। আর বিশ্বচলচ্চিত্রকে শাসন করতে থাকুন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Wordbridge School
Link copied!