• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চলছে বইমেলার প্রস্তুতি


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৬, ২০১৭, ০১:০৬ পিএম
চলছে বইমেলার প্রস্তুতি

ঢাকা : বরাবরের মতো এবারও ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এখনও তিনমাস বাকি থাকলেও বইমেলা ঘিরে ব্যস্ততা শুরু গেছে বিভিন্ন প্রকাশনীতে কর্মরত ব্যক্তিদের।

রাজধানীর বাংলাবাজার ঘুরে জানা গেল, বেশির ভাগ বই লেখা শেষ। এখন চলছে মুদ্রণ, প্রুফ রিডিং ও প্রুফ কারেকশনের কাজ। প্রকাশকরা জানালেন, তাদের ব্যস্ততা শুরু হয়েছে অক্টোবর থেকেই। বইয়ের প্রচ্ছদ ও প্রুফ রিডিংয়ের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু হয়। এই ব্যস্ততা চলবে ফেব্র“য়ারি মাস পর্যন্ত।

অনিন্দ্য প্রকাশের ম্যানেজার সমীর বিশ্বাস বলেন, সারাবছরই আমাদের ব্যস্ততা থাকে। তবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে থাকে মহা ব্যস্ততা। অক্টোবর পুরোদমে আমাদের কাজ শুরু হয়েছে। এবার ৬৫ ৭০ টা নতুন বই প্রকাশ হবে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে বই আসা শুরু হবে। এখন প্রচ্ছদ ডিজাইন ও প্রুফ দেখার কাজ চলছে।

তাম্রলিপি প্রকাশনীর ম্যানেজার সমর কুমার জানান, তাদেরও কাজ শুরু হয়েছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। এমনিতে সারাবছর নানা কাজ থাকে। তবে বইমেলার কাজ শুরু হয়েছে অক্টোবরে। এবার বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক ৫০টা বই আসবে তাম্রলিপি থেকে। এই বই ঘিরে তাদের অনেক প্রত্যাশা বলে জানালেন সমর কুমার।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন লেখক লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে। পঞ্চাশটি বইয়ের কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে শেষ সময়ের কাজ। সবগুলো বই একসাথে বাজারে আসবে। বইগুলো ঘিরে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। পাঠক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাবেন আশা করি।

দিব্য প্রকাশনীর কামাল হাসান জানালেন, তাদের ১০-১২ টা বই প্রস্তুত গেছে। আরও ১৫-২০টা বই জানুয়ারির মধ্যে চলে আসবে। প্রস্তুত হওয়া বইয়ের মধ্যে আছে শ্রী রমেশচন্দ্র মজুমদারের দুই খণ্ডে ‘বাংলাদেশের ইতিহাস’। সালিম অর্ণবের বাগদাদ বিনাশী ‘হালাকু খান’। বাকি বই প্রেসে আছে। বাঁধাইয়ের কাজ চলছে। দিব্য প্রকাশ ইতিহাসধর্মী বই বেশি প্রকাশ হয় বলে সারা বছরই বইগুলো চলে। ফলে শুধু বইমেলা নয়, তাদের ব্যস্ততা থাকে সারা বছর। তবে বইমেলায় চাপ বেশি বলেও জানান কামাল হাসান।

অন্বেষা পাবলিকেশন্স কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, বাংলা একাডেমির মাহপরিচালক সামছুজ্জামান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ বিখ্যাত ও নবীন লেখকদের বই মিলিয়ে প্রায় ৮০টি নতুন বই প্রকাশ হবে এবারের মেলায়।

মেলার বাইরেও সারাবছর বিভিন্ন জেলায় বইমেলা চলে। ফলে জেলাভিত্তিক বইমেলায় বইয়ের চাহিদা থাকে। এছাড়া ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে সারাবছরই পাঠক বই কিনে থাকেন বলে জানান একাধিক প্রকাশক। প্রিন্টিং প্রেসে গিয়েও দেখা গেল ব্যস্ততা।

প্রিয়াঙ্কা প্রিন্টিং প্রেসের মামুন মিয়া জানালেন, এখন গড়ে দশ বার ঘণ্টা করে কাজ করতে হচ্ছে। মেলার কয়েকদিন আগ এমন হয়, চব্বিশ ঘণ্টাও কাজ করতে হয়। ছুটি মেলে না। বার বছর ধরে প্রিন্টিং ও বই বাঁধাইয়ের কাজ করছেন। প্রতিবছর একই চিত্র দেখতে হয় বলে তিনি জানান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!