• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরি দেয়ার নামে সহবাস, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ২০, ২০১৬, ০৩:১৩ পিএম
চাকরি দেয়ার নামে সহবাস, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী

চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে৷ নদিয়ার কুপার্স পৌরসভার কাউন্সিলরের স্বামী সমীর দে এই কীর্তি করেছেন বলে অভিযোগ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে৷ বৃহস্পতিবার কাউন্সিলর সুপ্রিয়া দে তাঁকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ।

একসময় ওই কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছেলেকে পড়াতেন তরুণী৷ তিনি এমএ পাস৷ বাড়িতে যাওয়ার সুবাদে সমীরের সঙ্গে তাঁর পরিচয়৷ কুপার্স পৌরসভায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে কাজ করেন সমীর৷ যুবতী জানিয়েছেন, আলাপ-পরিচয়ের পর তিনি চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন৷ তারপর টানা তিন বছর ধরে সহবাস করেন৷ কিন্তু চাকরি হয়নি৷ কাউন্সিলরের স্বামী জোর করে বারবার সহবাস করেছেন বলে দাবি করেছেন যুবতী৷ কুপার্স পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপ্রিয়া দে-র স্বামী হিসাবে তিনি এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান৷ এদিন একটি পুজার অনুষ্ঠানে অকারণে কাউন্সিলর ওই যুবতীকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ৷

পুলিশ জানিয়েছে, মনসা পুজা উপলক্ষে দুই নারী পুজা দিতে গিয়েছিল৷ সেখানেই মারধরের ঘটনা ঘটে৷ যুবতী জানিয়েছেন, ‘পুজা দিতে গিয়েছিলাম৷ কাউন্সিলর হঠাত্‍ আমার দিকে তেলের শিশি ছুড়ে দেন৷ আমি প্রতিবাদ করি৷ আরও কয়েকজন নারীকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন কাউন্সিলর৷’ অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ ওই যুবতীর অভিযোগ অস্বীকার করে সমীর দে বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না৷ চাকরির কোনো প্রতিশ্রুতি দিইনি৷’ কাউন্সিলর বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল ঠিকই৷ কিন্তু মারধরের ঘটনা ঘটেনি৷’ পৌরসভার কর্মী সমীরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে পৌরসভার চেয়ারম্যান শিবু বাইন বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে৷ পুলিশ তদন্তে নেমেছে৷’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!