চাচা ও বোনকে রক্তাক্ত জখম করে জমি দখল

বরগুনা : বরগুনায় দোকান ও বসতবাড়ীর জমি দখল করার জন্য চাচা ও চাচাত বোনকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে বসত ঘর থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আপন ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। মারাত্মক আহত অবস্থায় চাচা ও তার একমাত্র মেয়ে কাজল মালাকারকে বরগুনা থানার পুলিশ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভরতি করে শনিবার (১৮ আগস্ট) রাত ১২টায়। অভিযুক্ত ভাতিজারা হলো বরগুনায পৌরসভার আমতলার পাড় সড়কের শান্তি রঞ্জন মালাকারের ছেলে রবিন্দ্র মালাকার রবি ও শুভ্ররতন মালাকার শুভ্র।

আহত চাচা রাখাল মালাকার জানান, আমি আর আমার বড় ভাই যৌথ বাবসা করে আসছিলাম সব কিছুর হিসাব বড় ভাই রাখত কিন্তু বড় ভাই মারা যাওয়ার পরে সকল হিসাব বড় ভাইয়ের ছেলেরা রাখত সেই সুবাদে বড় ভাইয়ের ছোলেরা বিভিন্ন স্থানে জমি ক্রয় করেও ৪তলা ভবন নির্মাণ করে যা আমার নামে কোনো অংশ রাখেনি। বরং আমার নামে আগে যা ছিল তাতেও আমাকে বসবাস করতে মানা করে। আমার কোনো ছেলে সন্তান নেই। শহরের আমতলার পাড় সড়কে খরিতকৃত ৭ শতাংশ জমি এবং শহরের মিষ্টি পট্টিতে ১৫ ফুট ও ১০ ফুট সরকার কর্তৃক ডিসিআর প্রাপ্ত হয়ে তিন যুগের অধিককাল সময়ে তিনি ব্যবসা ও বসবাস করে আসছে। রাখালের আপন ওই দুই ভাতিজা চাচার জমিটুকু গ্রাস করার জন্য শনিবার রাতে প্রথমে চাচার বসত ঘরে হামলা করে চাচাকে বসত ঘর থেকে নামিয়ে দেয়। চাচা তার একমাত্র কন্যা কাজলকে নিয়ে শহরের মিষ্টি পট্টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসে।

ওই ভাতিজারা রাতে সেখানে এসে চাচা রাখাল ও চাচাত বোন কাজলকে অমানসিক নির্যাতন করে দোকান থেকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। বরগুনা থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে বাবা মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করায়। আহত কাজল বলেন, আমার বাবার কোনো ছেলে সন্তান নেই। বাবার মৃত্যুর পরে সম্পত্তি বাবার ওই ভাইয়ের ছেলেরা পাবে। কিন্তু আমার চাচাত ভাইয়েরা আমাদের বসত ঘরের পাশেই চারতলা ভবন তৈরি করে। তাদের আরো জমি দরকার। এ কারণে বাবা ও আমাকে পিটিয়ে বসত ভিটা ছাড়া করে। এ ঘটনায় কাজল বাদী হয়ে আজ আদালতে মামলা করবে। বরগুনা থানার এসআই কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত রবীন্দ্র মালাকার রবি ঘটনা অস্বীকার করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর