• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত নতুন নৌ-রুট


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ২৪, ২০১৭, ০৬:৩৯ এএম
চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত নতুন নৌ-রুট

ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চারটি নৌ-রুট এখনো চালু অবস্থায় আছে। পঞ্চম রুট হিসেবে ব্রহ্মপুত্রের মাধ্যমে ভারতের সাথে নতুন নৌরুট চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী বছরের মধ্যেই এ রুট চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে দুই দেশ।

ভারতের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, নৌ-রুটটি চালু হলে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি হবে। এ ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশটির সাথে চুক্তি সই হয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন, মহাসড়ক ও নৌ প্রতিমন্ত্রী মান্দভিয়া আগরতলায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা জানান। তিনি বলেন, ভারত সরকার ব্রহ্মপুত্র নদের ভারতীয় অংশ এবং বাংলাদেশ সরকার তাদের অংশে ড্রেজিং করবে। এ নৌরুট চালু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও জনগণের মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়বে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত পথ রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ১১৬ কিলোমিটার রয়েছে নদী পথে। দুই দেশের রয়েছে ৫৪টি অভিন্ন নদী। ভারত সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য নদীপথসহ বহুমুখী সংযোগ চালু করাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এর মধ্যে নদীসংক্রান্ত ১৬টি প্রকল্প রয়েছে, যার বেশির ভাগই বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট এবং বাংলাদেশ সরকার দ্বারা অনুমোদিত।

ত্রিপুরার যোগাযোগ সচিব সমরজিত ভৌমিকের মতে, রাজ্যের গোমতি ও হাওড়ার সাথে বাংলাদেশের নদীগুলোর নৌরুট চালু করার একটি প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়া হয়েছে। নৌ-মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ১২ কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়ে ত্রিপুরার গোমতি এবং বাংলাদেশের মেঘনা নদীর মধ্যে নৌরুট চালুর বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলেছে।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চারটি অভ্যন্তরীণ নৌরুট চালু রয়েছে। এগুলো হলো কলকাতা-পান্ডু, কলকাতা-করিমগঞ্জ, রাজশাহী-দুলিয়ান ও করিমগঞ্জ-পান্ডু-করিমগঞ্জ। সবগুলো রুট আসামের দক্ষিণাঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মান্দভিয়া গত শনিবার(২২ জুলাই) ত্রিপুরা সফরে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও গভর্নর তাথাগাটা রায়ের সাথে সাক্ষাত করে চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!