• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
ফের শিথিল চায় খাদ্য অধিদফতর

চালে পাটের বস্তার বাধ্যবাধকতা


অর্থনৈতিক প্রতিবেদক জানুয়ারি ২০, ২০১৮, ০১:৩৭ পিএম
চালে পাটের বস্তার বাধ্যবাধকতা

ঢাকা : চাল আমদানিতে পাটের বস্তা ব্যবহারের আইনি বাধ্যবাধকতা আবারো ছয় মাসের জন্য শিথিলের আবেদন করেছে খাদ্য অধিদফতর। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে তিন মাসের জন্য পাটের বস্তা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছিল। খাদ্য অধিদফতরের সংগ্রহ বিভাগ থেকে প্রস্তাবটি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাট অধিদফতরে যাচাই-বাছাই ক্রমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

আগে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাল আমদানিতে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের (পিপি) ব্যাগ ব্যবহারের অনুমতি ছিল। কারণ, সে সময় দেশে চালের তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়। ফলে দেশে চালের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ হয়। এর প্রেক্ষিতে বিদেশ থেকে চাল আনতে পাটের বস্তা ব্যবহারে সরকারি বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছিল। তবে দেশের ভেতর চাল বাজারজাত করতে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলকই ছিল।

খাদ্য অধিদফতরের পরিচালক (সংগ্রহ বিভাগ) আবদুল আজিজ মোল্লা বলেন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানি প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে। সেসব দেশে পাটের বস্তা নেই। এ কারণে আমরা পাটের বস্তার বাধ্যবাধকতা আবারো জুন পর্যন্ত শিথিল করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি।

যদিও পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় বা পাট অধিদফতর আবারো পাটের বস্তা ব্যবহার শিথিলের পক্ষে নয়। কারণ, ব্যবসায়ীরা ভুল বার্তা দিয়ে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারে চালু রাখার চেষ্টা করছে বলে দাবি তাদের। তবে এ বিষয়ে পাট অধিদফতরের পরিচালক (পাট) আবদুল জলিল বলেন, এ রকম কোনো প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে আসেনি।

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান বলেন, এতদিন পাটের বস্তা ব্যবহার বন্ধ ছিল। কিন্তু তাতে চালের দাম কমেনি। আইন করে বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তা আবারো শিথিল চাইলে দ্বিতীয় দফায় প্রজ্ঞাপন জারি করে শিথিল করতে হবে।

সূত্র বলছে, দেশে অনেক চাল মিল মালিকের প্লাস্টিকের (পিপি) ব্যাগ তৈরির কারখানা রয়েছে। তারাই নানাভাবে সরকারকে পিপি ব্যাগ চালু রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ, বিদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রেও পাটের বস্তা ব্যবহার শিথিল হলে সে কাজে এসব পিপি ব্যাগ ব্যবহার হবে।

এর আগে চটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে চালের দাম প্রতি কেজিতে দুই টাকা পর্যন্ত কমানো সম্ভব হবে বলে ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীদের বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যবহার বন্ধ হলেও বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি।

পাটের ব্যাগ ব্যবহারে বাধ্য করতে ২০১০ সালে আইন প্রণয়ন করে সরকার। ওই আইনে কিছুটা সংশোধন আনা হয় ২০১৩ সালে। আইন অনুযায়ী অন্যান্য ১৭ পণ্যের ন্যায় ধান-চালে পাটজাত বস্তা ব্যতীত কোনো কৃত্রিম মোড়ক ব্যবহার করে বিক্রি, বিতরণ বা সরবরাহ করা যাবে না। আইন লঙ্ঘনকারীর অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। আর এই অপরাধ যদি কেউ একাধিকবার করেন, তাহলে যে দণ্ড আছে তার দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!