• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চালের দাম কমাতে চাপ দিয়ে লাভ নেই


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭, ১২:০২ পিএম
চালের দাম কমাতে চাপ দিয়ে লাভ নেই

ফাইল ছবি

ঢাকা: সম্প্রতি লাগামহীনভাবে বাড়ছে চালে দাম। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দাম বাড়ায় সরকার দুষছে ব্যবসায়ীদের আর ব্যবসায়ীরা ইঙ্গিত করছে সরকারের চাল ক্রয়ের নীতিকে; তবে যে যেটাই বলুক বলির পাঠা ঠিকই হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ বলে জলে মন্তব্য করছেন সাধারণ জনগণ।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকা দরে। যার দাম এখন থেকে দুই মাস আগে ছিল ৪৮ টাকা। চালের এই দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে শরিফ অটো রাইসের দোকানি আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের কিনতেই হচ্ছে বেশি দামে। তাছাড়া এই চাল বগুড়া থেকে ঢাকায় নিয়ে আসতে তো কিছু খরচ আছে, তাছাড়া দোকান ভাড়া কর্মচারির বেতন সব  মিলিয়ে তো ৬২ টাকার নিচে বিক্রি করলে চলে না।

এই দাম আরো বাড়তে পারে কী না জানতে চালছে তিনি বলেন, বলা যাচ্ছে না; বাড়তেও পারে।

এদিকে, একই দিন বগুড়ায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ‘বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি’র সভাপতি আব্দুর রশীদ জানিয়েছেন, সামঞ্জস্য রেখেই সরকার ও মিল মালিকদের সমন্বয়ে চালের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য কাজ করতে হবে। বেশি দামে ধান কিনে, চাল কম দামে বিক্রি করার চাপ দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

তিনি বলেন, ‘শুধু ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত করলে হবে না। সংশ্লিষ্ট খাদ্য কর্মকর্তা, মিল মালিক এবং ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা উচিত। তড়িঘড়ি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত করতে গিয়ে বরং মিল মালিকদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’

মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশীদ জানান, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে চাল মিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ধান ও চাল জব্দ, চালের মূল্য বৃদ্ধি এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনার কৌশল নির্ধারণে এ সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। বাজার নিয়ন্ত্রণ, এ বিষয়ে আমাদের করণীয় এবং কিভাবে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারি সে বিষয়ে সভার আলোচনায় গুরুত্ব পায়। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে মিল মালিকদের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’ 

তিনি তড়িঘড়ি করে এবং তদন্ত না করে মিল মালিকদের বিরুদ্ধে অপবাদ ছাপানো থেকে বিরত থাকতে মিডিয়াকর্মীদের কাছে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত কেউ দোষী হলে সে বিষয়ে আমাদের কথা নেই। সরকারকে অনুরোধ করছি, শুধু মিডিয়ার মাধ্যমে নয় অনেকভাবে যাচাই-বাছাই করে সত্য বিষয়টা তুলে ধরলে আমরা খুশি হব। 

বিশেষ সাধারণ সভায় ব্যানারে লেখা ছিল ‘বন্যা ও মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশসহ চালের বাজার ঊর্ধ্বগতির কারণে সদাশয় সরকার অযৌক্তিক দায় আরোপ করে মিল মালিকদের হেনস্থা করছেন। বিষয়গুলো আলোচনার জন্য বিশেষ সাধারণ সভা।’ 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!