• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চিংড়ি রপ্তানিতে আরো নজর দিতে হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১২, ২০১৬, ০৪:২৯ পিএম
চিংড়ি রপ্তানিতে আরো নজর দিতে হবে

চিংড়ি বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য রপ্তানি খাত। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার অর্থাৎ ১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। এ আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সম্প্রতি প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে। গত বছরের তুলনায় চিংড়ি রপ্তানিতে আয় বৃদ্ধি, অন্যদিকে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ২৭ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি; সার্বিক অর্থেই বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এটি একটি সুখবর। রফতানি আয়ের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে চিংড়ি রপ্তানি আরো বৃদ্ধি পাবে। সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি।   

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে চিংড়ি রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। কিন্তু আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ফলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে যে গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে, তা অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে মৎস্য রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বিপরীতে এ সময়ে আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ বেশি। আর যখন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে জীবিত মাছ রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। তখন এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। যদিও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ৭৯ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়েছে। আমরা মনে করি, চিংড়ি রফতানির পাশাপাশি জীবিত মাছ রপ্তানিতেও আরো বেশি মনোযোগ ও বিশ্ববাজারে দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে আয় বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। 

মনে রাখতে হবে, যত বেশি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা যাবে, তত বেশি সফলতা অর্জনের সম্ভাবনা তৈরি হবে। এতে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফলে সরকার ও সংশ্লিষ্টরদের রফতানি আয়ের ধারাকে আরো বেশি গতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণসহ, সম্ভাবনা আছে এমন ক্ষেত্রগুলোতে কোনো ধরনের সংকট থাকলে তার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ সম্ভাবনা আছে এমন খাতে সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিশ্চিত হলে রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। গতিশীল হবে দেশের অর্থনীতি।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা 

Wordbridge School
Link copied!