• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চিরনিদ্রায় শায়িত খাজা রহমতউল্লাহ


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ২৫, ২০১৭, ০৯:১৩ পিএম
চিরনিদ্রায় শায়িত খাজা রহমতউল্লাহ

ঢাকা: নানা শ্রেণী পেশার মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক জাতীয় খেলোয়াড় ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ। বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় এই হকি সংগঠককে।

বিকালে সাবেক এই জাতীয় হকি খেলোয়াড়ের মরদেহ নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসা হলে বাদ আসর তার দ্বিতীয় জানাজা হয় নগরীর ডিআইটি জামে মসজিদে। এ সময় তার কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ আলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শিল্পী, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজসহ জেলার রাজনৈতিক, ক্রীড়াবিদ, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক ,ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ।

এর আগে এদিন সকাল ১০টায় প্রিয় আবাহনী ক্লাবে নিয়ে আসা হয় সাবেক জাতীয় হকি খেলোয়াড় খাজা রহমতউল্লাহকে। সেখানে তার মরদেহর ওপরে আবাহনীর পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এ সময় সাবেক এই্ হকি খেরোয়াড়ের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। আর এখানেই তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় অংশ নেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও আবাহনীর ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদ্যবিদায়ী সভাপতি নাজমুল হাসান, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, হকি ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রমুখ।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ৫৫ বছর বয়সী খাজা রহমতউল্লাহ। নারায়নগঞ্জের নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে খাজা রহমতউল্লাহকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

৩২ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ হকির দশম আসরে ব্যস্ত সময় পার করলেন রহমতউল্লাহ। ২২ অক্টোবর ফাইনালের মধ্যেদিয়ে শেষ হয়েছে এশিয়ার হকি উৎসব। তার মাত্র দুই দিনের মাথায় পরপারে পাড়ি জমালেন খাজা রহমতউল্লাহ।

১৯৭৭ সালে উদিতি ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে হকির ক্যারিয়ার শুরু করেন খাজা রহমত উল্লাহ। ১৯৭৮ সালে যোগদান করেন সাধারণ বীমায়। পরের বছর তার নৈপুণ্যে সাধারণ বীমা প্রথম বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৮৫ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগদানের এক বছর পর চলে যান আবাহনীতে। সেখানে একটানা খেলার পর ১৯৯৫ সালে আবাহনীর হয়েই ক্যারিয়ার শেষ করেন খাজা রহমত উল্লাহ।

১৯৮৬ সালে সিওল অলিম্পিকের পর এশিয়ান একাদশে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি তার। বর্ণাঢ্য খেলোয়াড়ী জীবনে হকির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন সংগঠক হিসেবে। শেষ দিন পর্যন্ত তিনি হকির সঙ্গেই ছিলেন। দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্বরত ছিলেন রহমত উল্লাহ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!