• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চীর জীবনের জন্য অন্ধকারে, আর হাসবে না এই মুখ


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৬, ২০১৮, ০৩:৪৬ পিএম
চীর জীবনের জন্য অন্ধকারে, আর হাসবে না এই মুখ

ঢাকা: কিছুক্ষণ পরপরই মায়ের কথা মনে পড়ে আড়াই বছরের ইনায়া ইমাম হিয়ার। এক ঘর থেকে আরেক ঘরে খুঁজে ফেরে মাকে। মাঝে মাঝে মায়ের জন্য কাঁদে এই ছোট্ট শিশু। আবার ভুলে গিয়ে বাসার এর–ওর কোলে চড়ে। কখনো  মাকে ভুলে খেলায় মেতে থাকে। কিন্তু এখনও ইনায়া জানে আর মায়ের কোলে জায়গা হবে না তার।

নেপালে ইউএস-বাংলা উড়োজাহাজ (বিএস-২১১) বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ইনায়ার মা কেবিন ক্রু শারমিন আক্তার নিহত হয়েছেন। ফেসবুকে সবার কাছে তিনি নাবিলা ফারহিন নামে পরিচিত ছিলেন। 

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর পারিবারিক ভুল–বোঝাবুঝির কারণে পুলিশের কাছে ছিল হিয়া। পরে পুলিশ ইনায়াকে তার দাদির কাছে দেয়। এরপর থেকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ায় দাদির বাসাতেই সে আছে।

জানা গেছে, উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই ইনায়ার দাদি উত্তরায় শারমিনের বাসায় গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পান। কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না। পরে পুলিশ ইনায়াকে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করে দাদির কাছে দেয়।

কেবিন ক্রুর দায়িত্ব পালনের সময় বাসায় গৃহকর্মীর কাছে থাকত ইনায়া। আবার ইনায়াকে নানি বা দাদির বাসায়ও রেখে যেত শারমিন। দুর্ঘটনার দিন বাসায় গৃহকর্মীর কাছেই ছিল সে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর এক আত্মীয় বাসা থেকে ইনায়াকে নিজের বাসায় নিয়ে যান। ওই দিন শারমিন আক্তারের স্বামী ভারতে ছিলেন।

ইনায়ার চাচি ফাতেমা হোসেন বলেন, তেমন কিছু তো বোঝে না। হঠাৎ হঠাৎ মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য কাঁদতে থাকে। আবার ভুলে যায়। একেকজনের কোলে চড়ে, খেলে সময় কাটায়।

সোমবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ৪ জন ক্রুসহ ৭১ যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫১ জন নিহত হয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি। এঁদের মধ্যে ১০ জন আহত অবস্থায় নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ফ্লাইটের চার ক্রুর সবাই মৃত বলে নিশ্চিত করেছে ইউএস–বাংলার ঢাকা কার্যালয়।

ইনায়ার চাচি ফাতেমা বলেন, শারমিনের স্বামী ইমাম হোসেন ও স্বামীর ভাই বেলাল হোসেন নেপাল গেছেন। শারমিনের লাশ এখনো চিহ্নিত করা যায়নি।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!