• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চুক্তি না হলেও হাসিনা-মমতা বৈঠক চায় ভারত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ১৯, ২০১৭, ০৯:০৩ পিএম
চুক্তি না হলেও হাসিনা-মমতা বৈঠক চায় ভারত

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি। এজন্য বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদেরও দিল্লিতে দাওয়াত দেয়ার চিন্তা করছেন নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের জনপ্রিয় কয়েকটি পত্রিকা এ তথ্য জানিয়েছে।

আগামী এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের কথা রয়েছে। সে সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ভোটের পরে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতার যে বার্তা মমতা দিয়েছেন, তা মেনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ স্বীকার করে হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসলে এই সফর বাড়তি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

আগামী মাসের ৭ তারিখ তিন দিনের ভারত সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সেই সফর চলাকালে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পাঁচটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নয়াদিল্লিতে আমন্ত্রণ জানাবে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে মেঘালয়, অসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম।

তিস্তার পানি বণ্টনে ভারত সরকার একমত হলেও মমতার আপত্তির কারণে চুক্তিটি ঝুলে আছে। শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফর দুটি দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের কাছে যতোটা না, তারচেয়ে বেশি গরজ ভারতের। দেশটি ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি করার জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে এখনো কিছু বলেনি। তবে, ভারত চাইছে অন্তত সফরের সময়ে বাংলাদেশের মন যোগাতে পারবে। এজন্য তিস্তা চুক্তি না হলেও অন্তত মমতার সঙ্গে বৈঠকটি হলে কিছুটা শান্ত হবে ঢাকা এমনটাই মনে করছে ভারতীয় কূটনীতিকরা।

কিন্তু মোদির এই আহ্বান মমতা সারা দিবেন কি-না তা নিয়ে কূটনৈতিক সূত্রগুলো একমত হতে পারছেন না। অনেকে বলছেন, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে মমতার মন গলাতে এবারও পারবে না মোদি সরকার।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র দিয়ে দেশটির পত্রিকাগুলো বলছে, তিস্তা চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপের পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি ভারতের। কিন্তু দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হবে। পাশাপাশি এই চুক্তিতে এত দিন দেয়াল তুলে রাখা মমতা-হাসিনার মুখোমুখি বসলে অনেকটাই ইতিবাচক বার্তা দেওয়া যাবে।

সূত্র জানিয়েছে, কূটনৈতিক মহলের কাছে খবর রয়েছে এবারো তিস্তা চুক্তির হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। এ নিয়ে বাংলাদেশেও চলছে রাজনৈতিক উত্তাপ। শেখ হাসিনা দিল্লি গেলেও চুক্তি না হলে, সেই পরিস্থিতি ভারত সরকার কিভাবে সামাল দিবে তা নিয়ে চলছে বহুমুখি হিসাব।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১০ সালে শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়েও মমতাকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উপহারের জন্য শাড়ি নিয়ে দেখা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। দিদি সম্বোধন করেছিলেন হাসিনাকে। সর্বশেষ নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময়েও মমতা এসেছিলেন ঢাকায়। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রটোকল ভেঙে এগিয়ে গিয়েছেলেন মমতার দিকে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গনেও কথা বিনিময় হয়েছিল। কিন্তু সেবারও দিদি সম্বোধন করে তিস্তায় না বলে চলে গিয়েছিলেন মমতা।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!