• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চুক্তি হবে খোলামেলা, গোপনীয়তার কিছু নেই


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৫, ২০১৭, ০৮:২৩ পিএম
চুক্তি হবে খোলামেলা, গোপনীয়তার কিছু নেই

নোয়াখালী: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যে চুক্তি হবে তা প্রকাশ্যে, সবকিছু হবে খোলামেলা। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই। জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই এ চুক্তি করা হবে।

বুধবার (১৫ মার্চ) নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার একটি বিদ্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হবে প্রকাশ্যে। সমঝোতা স্মারক হবে প্রকাশ্যে। সবকিছু হবে খোলামেলা। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই। তিনি বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনে একটি দল দিশেহারা। তারা এখন হিংসার আগুনে জ্বলছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর আন্দোলনে জনগণের সমর্থন না পেয়ে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথে সরকার হটানোর চক্রান্ত করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী এপ্রিলে ভারত যাচ্ছেন। তখন যদি (তিস্তা চুক্তি) না হয়, তারপর যেকোনো সময় হতে পারে। ভারত আর বাংলাদেশ কোনো দূরের দেশ নয়। এ নিয়ে যাঁরা পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছেন, তারা তো নিজেরা কিছু করতে পারেননি। এখন নেত্রীকে পদে পদে বাধা দিচ্ছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ৪১ বছর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির বাস্তবায়ন কেউ করতে পারেনি। শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শুধু চুক্তির বাস্তবায়ন করেননি, সিটমহল বিনিময় চুক্তির বাস্তবায়ন এরই মধ্যে শেষ করেছেন। তাই তিস্তা চুক্তিও হয়ে যাবে। এ নিয়ে কারও দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকার কারণ নেই।

নির্বাচন প্রসঙ্গটেনে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে গেলে, আমরা তা মেনে নেব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সামনে নির্বাচন। ঘরের মধ্যে ঘর করা বন্ধ করতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে, শৃঙ্খলাবিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। রাজনীতিতে চাওয়া-পাওয়ার কিছু ছিল না। দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছি। যার ফল স্বরুপ প্রধানমন্ত্রী আমাকে যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম জাফর উল্যাহ, কবিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুন নাহার প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!