চুনারুঘাটে সালিশ বৈঠকে সংঘর্ষে আহত ১ জনের মৃত্যু

হবিগঞ্জ: জেলার চুনারুঘাট উপজেলা উলুকান্দি গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের সালিশ বৈঠকে দু’দল লোকজনের সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছেন। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সিলেট এমএ জি উসমানি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু। এ ঘটনায় আহত হয় নারীসহ আরও অন্তত ২৫ জন।

নিহত ব্যক্তি উলুকান্দি গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর পুত্র তাহির মিয়া (৪০)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানি মেডিকেলে ও বাঁকিদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার পুত্র ছমেদ মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার আব্দুল আলীর পুত্র ফয়সল মিয়ার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

রবিবার বিকেল ৩টায় আব্দুল আলীর বাড়িতে উক্ত বিরোধের সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় জবানবন্দি দেয়ার সময় দু’পক্ষের লোকজন বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ধ্যার পর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে বাড়িঘর ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ রজব আলীসহ স্থানীয় ময়মোরব্বিরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাহির মিয়া (৪০), ফরহাদ (৫০), কাউছার আহমেদ (২২), তাউছ মিয়া (২৬), লিটন (৩৫), মিজান (১৮), রেজিয়া বেগম (৪০), এখলাছ মিয়া (১৮), ছমেদ মিয়া (৫০), ফয়সল আহমেদ (২৫), মিল্লাদ (১৬) কে সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।

এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতে তাহির মিয়া, কাউছার আহমেদ, তাউছ মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তাহির মিয়া মারা যান।

এদিকে, সকালে তাহির মিয়ার মৃত্যু সংবাদটি তাহির মিয়ার লোকনের মধ্যে পৌঁছালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ফের সংঘর্ষ এড়াতে সহকারী পুলিশ সুপার মাধবপুর সার্কেল রাজু আহমেদ, চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার রাজু আহমেদ জানান, নিহতের সংবাদ আসার পর থেকে পুরুষশূন্য হয়ে পরে গ্রাম। শূন্য বাড়ি-ঘরে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর