• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চুরি যাওয়া ১৫ মিলিয়ন ডলার ফেরত পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক


সোনালীনিউজ ডেস্ক জুলাই ৩১, ২০১৬, ০১:১৮ পিএম
চুরি যাওয়া ১৫ মিলিয়ন ডলার ফেরত পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে ফিলিপাইন থেকে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে ফেরত যাচ্ছে। গত শুক্রবার ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম ফিলস্টার এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। এ অর্থ ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাকাতি সিটি শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে জমা হয়। পরে সেখান থেকে তা উঠিয়ে নেয় জড়িতরা। এ ঘটনায় ফিলিপাইনের সরকারের পক্ষ থেকে সিনেটের ব্লু রিবন কমিটিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটির শুনানি চলাকালে ক্যাসিনো জাঙ্কেট অপারেটর কিম অং তার কাছে ১৫ মিলিয়ন ডলার থাকার কথা স্বীকার করেন এবং পরে তা দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) কাছে ফেরত দেন। ফিলিপাইনের আইন অনুযায়ী, কোনো তৃতীয় পক্ষ আদালতে দাবি উত্থাপন না করলে এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দেওয়া হবে। তবে এর জন্য মালিকানার সপক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। আদালতে শুনানি চলাকালে কোনো পক্ষই এ অর্থ দাবি না করায় বাংলাদেশ ব্যাংক শেষ পর্যন্ত এ অর্থ ফেরত পেতে যাচ্ছে।

শুক্রবার জন গোমেজ জানান, এমএলসির কাছ থেকে অর্থ ফেরত পেতে বাংলাদেশ সরকারের কেবল আর একটি নথি জমা দেওয়া বাকি আছে।

তিনি বলেন, ‘অর্থের মালিকানা দাবি করে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কাগজপত্র পাঠানো হবে এবং তারপরেই এই অর্থ ফেডারেল রিজার্ভে আমাদের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটি করতে পারব, যাতে ১৫ আগস্টের মধ্যে অর্থ ফেরত যেতে পারে।’

এর আগে অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এতে অর্থ ফেরতে বাংলাদেশ ব্যাংককে সব ধরনের সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হয়।

চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের পুরোটাই উদ্ধার করা সম্ভব হবে কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত গোমেজ বলেন, ‘আমি মনে করি না পুরো ৮১ মিলিয়ন ডলারই উদ্ধার করা সম্ভব। তবে আমরা আশা করছি ফিলরেমের (ফিলিপাইনের মুদ্রা বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠান) কাছ থেকে ১৭ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার সম্ভব।’

এর পাশাপাশি জুয়া খেলা নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ফিলিপাইন অ্যামিউজমেন্ট অ্যান্ড গেমিং করপোরেশনের জিম্মায় যে আড়াই মিলিয়ন ডলার রয়েছে, তাও উদ্ধারের আশা প্রকাশ করেন গোমেজ। এই অর্থ উদ্ধারে তিনি ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট দুতের্তের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দুতের্তে সরকারের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!