• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চোখ বেঁধে স্কুলছাত্রের নখ উপড়ে দিল মেম্বারের লোকজন!


সাভার প্রতিনিধি আগস্ট ১১, ২০১৭, ০৯:৩০ পিএম
চোখ বেঁধে স্কুলছাত্রের নখ উপড়ে দিল মেম্বারের লোকজন!

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সানি

সাভার: মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে চোখ বেঁধে স্কুলছাত্রের পায়ের নখ উপড়ে নির্যাতন চালিয়েছে মেম্বারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটে গত ৯ আগষ্ট সাভারের আশুলিয়ার কুরগাও হাউজিং সোসাইটি এলাকা।

অভিযুক্তরা হলো স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারে শফিউল আলম সোহাগের লোকজন। নির্যাতনের শিকার সানি আলম (১৩) এলাকার প্রফেসর পাড়া হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

এদিকে গত বুধবার (৯ আগস্ট) ঘটনাটি ঘটলে তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

নির্যাতিত ওই স্কুলছাত্রের বাবা অটোরিকশা চালক সরোয়ার হোসেন জানান, দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি আশুলিয়া কুরগাওয়ের হাউজিং সোসাইটি এলাকায় রেজার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সানি আলম তার বড় ছেলে। গত ৯ আগষ্ট (বুধবার) বিকেলে হঠাৎ করেই স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিউল আলম সোহাগ ও তার লোকজন চোর সন্দেহে সানিকে বাড়ি থেকে ডেকে পাশের রিমেক্স লিবার্টি সিটির ভেতরে নিয়ে চোখ বেঁধে অমানসিক নির্যাতন করেন তারা।

চার ঘণ্টা ধরে কয়েক দফা নির্যাতন চালানোর এক পর্যায়ে তারা সানির পায়ের নখও উপড়ে দেয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এর পর থেকে তারা ওই মেম্বারের লোকজনের নজরবন্দি করে রাখে।

পায়ের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে

তিনি আরো জানান, শুক্রবার (১১ আগষ্ট) খবর পেয়ে আশুরিয়া থানার ওসি বিকেল ৩টার দিকে সানিকে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রের প্রতিবেশী ফাতেমাসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, স্কুলছাত্র সানি আলম পড়াশুনার পাশাপাশি অটোরিকশা চালিয়ে তার পরিবারকে সহযোগিতা করতো। সে ভালো ছেলে। তাকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে অমানবিকভাবে নির্ডাতন করেছে স্থানীয় মেম্বারসহ তার লোকজন।

সানিকে মারধরের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তার বাবা সরোয়ার হোসেন বলেন, একই স্কুলে লেখাপড়া করার সুবাধে পার্শ্ববর্তী কিবরিয়ার ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে সনি বন্ধুত্ব হয়। এ কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এভাবে নির্যাতন চালায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার শফিউল আলম সোহাগ বলেন,  ছেলেটি খারাপ, চুরি করতো। এ কারণে তাকে হালকা মারধর করা হয়েছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে গুরুত্বর আহত ওই কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত কিবরিয়া নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!