চোখের পানিতে ইনিয়েস্তার বার্সাকে বিদায়

ঢাকা : মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্ব ফুটবল একে একে বহু তারকাকেই তাদের দীর্ঘদিনের আস্তানা ছেড়ে যেতে দেখেছে৷ ওয়েঙ্গার থেকে বুফোঁন-তোরেস হয়ে সেই তালিকা দীর্ঘায়িত হলো ইনিয়েস্তার বার্সা ত্যাগে৷

ওয়েঙ্গার হোক, অথবা বুঁফোন, ন্যু ক্যাম্পের চিত্রনাট্যটাই ছিল খানিকটা একই রকম৷ বিদায় সংবর্ধনায় ওয়েঙ্গারকে যেমন আকুণ্ঠ ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে গানার্স সমর্থকরা, ইনিয়েস্তাও পেলেন একই রকমের বিদায়ী মঞ্চ৷ আবার ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করিয়ে বুফোঁন ওল্ড লেডি ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে ইনিয়েস্তার বার্সেলোনা ছাড়ার প্রেক্ষাপটটাও অবিকল এক৷

আগেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া জুভেন্টাসকে চোখের পানিতে বিদায় জানিয়েছিলেন বুফোঁন৷ শেষবেলায় ইনিয়েস্তারও চোখের পানি বাধ মানেনি৷ তাঁর সঙ্গে কেঁদেছে গোটা ন্যু ক্যাম্প৷ লা লিগার শিরোপা এর মধ্যেই ঝুলিতে পোরা বার্সেলোনা প্রিয় তারকাকে বিদায় জানাতে গিয়ে চোখের পানিতে ভিজেছে৷

লিগের ফয়সলা হয়ে গেছে আগেই৷ লা লিগার সমাপ্তি সূচক ম্যাচটা বার্সা এবং স্প্যানিশ লিগে ইনিয়েস্তার বিদায়ী ম্যাচ হিসাবেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল৷ রিয়াল সোসিয়েদাদের বিরুদ্ধে বার্সেলোনাকে শেষবার নেতৃত্ব দিতে নামা ইনিয়েস্তা ৮২ মিনিটে যখন মাঠ ছাড়েন, স্তব্ধ হয়ে যায় ম্যাচের গতি৷ সতীর্থরা ছাড়াও একে একে বিপক্ষ ফুটবলার এবং রেফারিও জড়িয়ে ধরে শেষ বারের মাতো ইনিয়েস্তার ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার মুহূর্তটাকে আবেগঘন করে তোলেন৷ ডাগআউটে বসে ছলছল চোখে ম্যাচের বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন তিনি৷

৫৭ মিনিটে কুতিনহোর একমাত্র গোলে ইনিয়েস্তার বিদায়ী ম্যাচকে জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখে বার্সা৷ ম্যাচ শেষ হওয়া মাত্রাই মাঠ জুড়ে নেমে আসে অন্ধকারের নিস্তব্ধতা৷ পরক্ষণেই নিয়ন আলোয় শুরু হয় বার্সেলোনায় ইনিয়েস্তার ক্যারিয়ার উদযাপণের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান৷

সতীর্থ ও সমর্থকদের ভালোবাসায় ভেসে ইনিয়েস্তা যখন মাইক্রোফোন হাতে তুলে নেন, আবেগে উচ্ছ্বাসে উদ্বেলিত ন্যু ক্যাম্পে তখন ‘পিন ড্রপ সাইলেন্স’৷ কাঁপা কাঁপা গলায় ইনিয়েস্তা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ৩১টি ট্রফি এনে দেওয়া ক্লাব, সতীর্থ ও সমর্থকদের৷ বলেন, ‘আজকের দিনে আবেগ ধরে রাখা মুশকিল৷ এখানে এসেছিলাম একজন বালক হিসেবে৷ ক্লাব ছাড়ছি পরিণত মানুষ হয়ে৷ বিদায় বার্সা৷’

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই