• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চড়ক পূজায় লাখো দর্শনার্থীর ভিড়


রাজবাড়ী প্রতিনিধি এপ্রিল ১৫, ২০১৭, ১১:১৩ এএম
চড়ক পূজায় লাখো দর্শনার্থীর ভিড়

রাজবাড়ী: জেলায় চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে গোয়ালন্দর চড়ক খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে চড়ক পূজা। হাজার হাজার দর্শক উপভোগ করেন গ্রাম বাংলার এই ঐহিত্যবাহী অনুষ্ঠান।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের কাটাখালিতে এ চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

মালিপাড়া গ্রামে চৈত্র মাসের শেষ দিনে (পজ্ঞিকা মতে) গত ২৬ বছর ধরে চলে আসছে সনাতন ধর্মালম্বীদের চড়কপূজা। পূজা উপলক্ষে খোলা মাঠে পুরাতন একটি চড়ক গাছে আয়োজন করা হয় ধর্মীয় বিধি মোতাবেক এই পূজার। সন্যাসীরা উপবাস থেকে পুরোহিতদের কাছ থেকে পিঠে বর্শি এবং জিব্বায় লোহার শিক গেথে চড়ক গাছ প্রদক্ষিণ করে। পরে চড়ক গাছের দুই দিকে দুজন সন্যাসীকে পিঠে বর্শি গেথে শূন্যে ঘোরানো হয়।

চড়ক পূজা কবে কিভাবে শুরু হয়েছিল তার সঠিক ইতিহাস জানা জায়নি। তবে জনশ্রুত রয়েছে, ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে সুন্দরানন্দ ঠাকুর নামে এক রাজা এই পূজার প্রচলন করেন। রাজ পরিবারের লোকজন এই পূজা আরম্ভ করলেও চড়কপূজা কখনও রাজ-রাজাদের পূজা ছিল ন। এটি ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকসংস্কৃতি।

চড়ক পূজা দেখতে জেলার বাইরে থেকে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। অনেকের কাছে এই অনুষ্ঠান একবারেই নতুন।

আয়োজক কমিটির সদস্য বাদল বিশ্বাস জানান, ২৬ বছর ধরে সাহসি যুবকদের পিঠে বর্শি দিয়ে শূন্যে ঘোরানো হয়। এবার রাজীব বিশ্বাস এবং দেবদাস বিশ্বাস এই দুই চড়ক সন্যাসী চড়ক গাছে শূন্যে ভাসবে।

এদিকে সব ধর্মের মানুষের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান পালন করছেন বলে জানিয়েছেন বাবলু বিশ্বাস। তিনি জানান, হিন্দুধর্মালম্বীদের এই অনুষ্ঠান প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। কালের আবর্তমানে অনেক স্থানে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার চিরাচারিত এই অনুষ্ঠান। সবার সহযোগিতায় এই ধরনের অনুষ্ঠান আরও বড় করে করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজক ও দর্শকদের।

পূজা দেখতে আসা পঙ্কজ বিশ্বাস নামে এক দর্শনার্থী জানান সত্যি অসাধারন এক অনুভুতি। পিঠে বর্শি দিয়ে শূন্যে ভাসানো কঠিন এক সাধনা ব্যাপার।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!