• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০


রংপুর প্রতিনিধি নভেম্বর ১২, ২০১৭, ১০:০৮ পিএম
ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

রংপুর: ছাত্রদলের কর্মিসভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে গুরুত্বর আহতাবস্থায় ছাত্রদল কর্মী কামরুজ্জামান (১৭), সোহেল মিয়া (২১), বেলাল হোসেন (২২), আজাদ হোসেন (১৭), চান মিয়া (২২) ও রাশেদুল হক (১২) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ও পৌর শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে রোববার সন্ধ্যায় ওই কমিউনিটি সেন্টারে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাবেক সাংসদ ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী। এছাড়া প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান হিজবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির।
প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফ নেওয়াজ।

দলীয় সূত্র জানায়, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিকেলে সভা শুরুর আগে উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মনিরুজ্জামান ও পৌর ছাত্রদল সভাপতি রাসেল আহমদের সমর্থনে পৃথক পৃথক স্লোগান দিয়ে কর্মীরা ওই সভায় যোগদান করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে সভার উদ্বোধন করার পরেই মঞ্চে ওঠেন জেলা ছাত্রদলের নেতারা। এ সময় শুরু হয় ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান ও রাসেল আহমদের পক্ষে-বিপক্ষে স্লোগান। এর একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ভাঙচুর করা হয় সভামঞ্চের অর্ধশতাধিক চেয়ার। বাধ্য হয়ে সভা না করেই স্থান ত্যাগ করেন দলীয় নেতারা।

পৌর ছাত্রদল সভাপতি রাসেল আহমেদ বলেন, ‘সভায় আমার সমর্থন বেশি থাকায় কমিটি গঠন বানচালের জন্যই মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে আমার নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এতে আমার ১৫ সমর্থক আহত হয়েছেন এবং ছয়জনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা রয়েছে।

এদিকে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে মনিরুজ্জামান বলেন, আমি কোনো হামলা করিনি। বরং রাসেল সভা বানচালের জন্য বাইরে থেকে অছাত্রদের ভাড়া করে নিয়ে এসে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং একই সঙ্গে লজ্জারও। দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে এমনটা কখনোই কাম্য নয়। তবে সমাবেশে দুই পক্ষের সমর্থনে কিছু অছাত্র ঢুকে পড়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

বদরগঞ্জ থানার ওসি আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়েছে। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!