• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ছাত্রলীগকে শিক্ষিত হতে হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৪, ২০১৭, ০৫:৫৭ পিএম
ছাত্রলীগকে শিক্ষিত হতে হবে

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকে শিক্ষিত হতে হবে। অশিক্ষিতদের হাতে দেশ গেলে কি পরিণত হয় ১৯৭৫ সালের পরে দেশবাসী টের পেয়েছে। সব আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রগামী ছিল ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া আদর্শকে অনুসরণ করে ছাত্রলীগকে রাজনীতি করেতে হবে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের শুধু রাজনীতি করলেই হবে না, তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।

তিনি বলেন, ভাষা অন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি অন্দোলনেই রাজপথে থেকে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে ছাত্রলীগ। তাই ছাত্রলীগকে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে অগ্রসেনানীর ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রলীগ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যেক জেলায় একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। বর্তমান সরকার দেশের মানুষের শতভাগ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতার পতাকা দেশদ্রোহী, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দাতাদেরও বিচার করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের লেখাপড়ায় মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অশিক্ষিতের হাতে দেশ পড়লে কী হয় তা পঁচাত্তরের পর হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বাংলাদেশ। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মীরজাফর মোশতাক ক্ষমতায় গিয়ে তিন মাসও টিকতে পারেনি।

অনুষ্ঠানে ১৯৭২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট তুলে দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্দোলন-সংগ্রামে প্রথম নির্দেশ দিতেন ছাত্রলীগকে। বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রলীগ।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যিনি দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাকে রক্ত দিতে হয়। তাকে জীবন দিতে হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন জাতি হবে তা পাকিস্তানিরা মানতে পারেনি। তাদের এ দেশের দোসররা তা মানতে পারেনি। তাই তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। এরপর আমরা দেখেছি দেশে একের পর এক কত ক্যু আর হত্যা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের টিকে থাকার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর পাকিস্তানি শাসকচক্র এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা ভেবেছিল বাংলাদেশে আর আওয়ামী লীগ দাঁড়াতে পারবে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নষ্ট করবে, স্বাধীনতার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেবে। কিন্তু তারা পারেনি। কারণ বঙ্গবন্ধু আদর্শ রেখে গেছেন, ছাত্রলীগের মতো সংগঠন রেখে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। আমরা যদি বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামের দিকে তাকাই, প্রতিটিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রলীগ। প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু প্রথম নির্দেশ দিতেন ছাত্রলীগকে। বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশ দিতেন ছাত্রলীগ তা বাস্তবায়ন করত।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, এস এম জাকির হোসেইন প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!