• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
মেয়াদ শেষ হয়েছে তিন মাস আগে

ছাত্রলীগের সম্মেলন না হওয়ার নেপথ্যে


সোনালী বিশেষ অক্টোবর ৪, ২০১৭, ০৩:৫০ পিএম
ছাত্রলীগের সম্মেলন না হওয়ার নেপথ্যে

ঢাকা : কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ পার হওয়ার পরও নতুন করে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি ছাত্রলীগ। বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুলাইয়ে। সম্মেলনের নতুন তারিখ প্রসঙ্গে বর্তমান কমিটি বলছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশ পেলেই সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

এদিকে, ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, ছাত্রলীগ নিজস্ব গঠনতন্ত্র মেনে চলে। সেই অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হলে সম্মেলন করতে হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ে সম্মেলন না হয়, তাহলে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা উচিত।

ছাত্রলীগের শেষ সম্মেলন হয়েছে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে। ২৬ ও ২৭ জুলাই ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সাইফুর রহমান সোহাগকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর সাত মাস পর গঠিত হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এরপর পার হয়ে গেছে দুই বছরেরও বেশি সময়।

এখন সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা না করার বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগকে একাধিকার ফোন ও এসএমএস করে সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন বলেন, সম্মেলনের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে আমাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্দেশ দিলেই সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম খান বলেন, সম্মেলন কারও ব্যক্তিগত চাওয়া নয়। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নতুন সম্মেলন করতে হবে। সম্মেলন হলে নতুন নেতৃত্ব আসবে। এতে সংগঠন আরও গতিশীল-শক্তিশালী হবে। যা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের জন্য কাজ করতে পারবে।

সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের বিষয়ে সায়েম খান বলেন, আমরাও নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। যদি নেত্রীর সম্মেলন নিয়ে স্পষ্ট কোনও বার্তা থাকে, তাহলে গঠনতন্ত্রে ছাড় দিতে পারি, না হলে আমরা কোনও ছাড় দিতে পারব না।

গঠনতন্ত্র অনুসারে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা কত কেউ তা বলতে পারছে না। সংগঠনটির দফতর থেকেও সঠিক হিসাব মেলেনি। জানা গেছে, বর্তমান কমিটি সদস্য সংখ্যা ৫০০-র বেশি।

অভিযোগ রয়েছে,ক মিটির মেয়াদের শেষের দিকে আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন কারণে গণহারে পদ দিয়েছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।  

কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা কত জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন বলেন, আমাদের কমিটির সদস্য সংখ্যা চারশ থেকে সাড়ে চারশ হবে।

তবে দেশে না হলেও প্রবাস কমিটি হচ্ছে ছাত্রলীগের। সারাদেশে কমিটি গঠনের চেয়ে দেশের বাইরে প্রবাসে কমিটি গঠন করতে আগ্রহী বর্তমান ছাত্রলীগ নেতারা। দেশে ১১০টি সাংগঠনিক কমিটি রয়েছে ছাত্রলীগের। এর মধ্যে বর্তমান কমিটি সম্মেলন দিয়েছে ৪৪ ইউনিটের।

তবে কোন কোন জেলার কমিটি হয়েছে, সেই তালিকা দিতে পারেনি সংগঠটির দফতর। বাকি ইউনিটিগুলোর সম্মেলন হয়নি। এরমধ্যে কিছু কিছু ইউনিটের কমিটি হয়েছে পাঁচ থেকে সাত বছর আগে। শরীয়তপুর, নরসিংদী, বরিশাল মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ, নোয়াখালী জেলা ও দিনাজপুর উল্লেখযোগ্য।  

দেশের বাইরে ২২টি দেশে ছাত্রলীগের শাখা আছে। বর্তমান কমিটি বিদেশের ২০টি ইউনিটের কমিটি দিয়েছে। আগামীতে আরও ৭টি দেশে কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।

ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক শাহজাদা দেলওয়ার বলেন, সারাদেশে ৪৪টি ইউনিটের কমিটি হয়েছে। আগামী মাসে আরও দুটি জেলার কমিটি হবে। আর বাইরে ২০ দেশে কমিটি হয়েছে। নতুন করে আরও কয়েকটি দেশে ছাত্রলীগের ইউনিট শাখা করা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!