• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগের ৬৯ বছরের কর্ণধার কারা


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৪, ২০১৭, ০৮:৩০ পিএম
ছাত্রলীগের ৬৯ বছরের কর্ণধার কারা

ঢাকা: ৬৯ বছর আগে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠিত ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন মরহুম নাঈমউদ্দিন আহমেদ। প্রায় আড়াই মাস পর গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি হন দবিরুল ইসলাম আর সাধারণ সম্পাদক করা হয় খালেক নেওয়াজ খানকে। কমিটির মেয়াদ ছিল ১৯৪৮-১৯৫০। প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক উভয়েই প্রয়াত।

১৯৫০ সালে গঠিত দুই বছর (১৯৫০-১৯৫২) মেয়াদি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন খালেক নেওয়াজ খান এবং কামরুজ্জামান। তারা দুজনেই মারা গেছেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৩ মেয়াদে সভাপতি হয়েছিলেন প্রয়াত কামরুজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রয়াত এম এ আউয়াল।

১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ মেয়াদে সভাপতি ছিলেন প্রয়াত আব্দুল মোমিন তালুকদার। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রয়াত এম এ আউয়াল। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ মেয়াদে সভাপতি ছিলেন প্রয়াত রফিকুল্লাহ চৌধুরী। বর্তমান বিএনপি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। 

শাহ মোয়াজ্জেম সভাপতি আর প্রয়াত শেখ ফজলুল হক মনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ১৯৬০ থেকে ১৯৬৩ মেয়াদে। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ মেয়াদে প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমান সভাপতি এবং সিরাজুল আলম খান সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ মেয়াদে প্রয়াত সৈয়দ মাজাহারুল হক বাকী সভাপতি এবং প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 

১৯৬৭-১৯৬৮ মেয়াদে ফেরদৌস আহমেদ সভাপতি আর আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৮-১৯৭১ মেয়াদে আব্দুর রউফ সভাপতি এবং প্রয়াত খালেদা মোহাম্মদ আলী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 

১৯৭১ থেকে ১৯৭২ মেয়াদে তোফায়েল আহমেদ সভাপতি আর আ স ম আব্দুর রব সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর নুরে আলম সিদ্দিকী সভাপতি এবং শাহজাহান সিরাজ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে শাহজাহান সিরাজকে বহিষ্কারের পর ইসমত কাদির গামাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। 

১৯৭২-১৯৭৩ মেয়াদে বর্তমান জেপি সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদ সভাপতি এবং এম এ রশীদ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৩-১৯৭৪ মেয়াদে বর্তমান বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরী সভাপতি এবং বর্তমানে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শফিউল আলম প্রধানকে বহিষ্কার করা হলে ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত আহ্বায়ক ছিলেন এম এ আউয়াল। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতি এবং বাহালুল মজনুন চুন্নু সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ১৯৭৭-১৯৮১ মেয়াদে। ১৯৮১-১৯৮৩ মেয়াদে ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সভাপতি এবং খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৩-১৯৮৫ মেয়াদে আব্দুল মান্নান সভাপতি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

১৯৮৫-১৯৮৬ মেয়াদে সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আহমেদ সভাপতি ও আব্দুর রহমান সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৬-১৯৯২ মেয়াদে হাবিবুর রহমান হাবিব সভাপতি আর অসীম কুমার উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। হাবিবুর রহমান হাবিব ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে শাহে আলমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। 

১৯৯২-১৯৯৪ মেয়াদে সভাপতি ছিলেন মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী আর বর্তমানে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহীম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৪-১৯৯৬ মেয়াদে এনামুল হক শামীম সভাপতি এবং ইসাহাক আলী খান পান্না সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাহাদুর বেপারী সভাপতি আর অজয় কর খোকন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৬-২০০২ মেয়াদে।

২০০২-২০০৬ মেয়াদে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন লিয়াকত শিকদার ও নজরুল ইসলাম বাবু। ২০০৬-২০১১ মেয়াদে মাহমুদুর হাসান রিপন সভাপতি আর মাহাফুজুর হায়দার চৌধুরী রোটন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

২০১১-২০১৫ মেয়াদে বদিউজ্জামান সোহাগ সভাপতি ও সিদ্দিকী নাজমুল আলম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন সাইফুর রহমান সোহাগ সভাপতি ও জাকির হোসাইন।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!