• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রীর সঙ্গে ভালোবাসা, শিক্ষক বরখাস্ত!


ইবি প্রতিনিধি এপ্রিল ১৬, ২০১৭, ০৮:৫১ পিএম
ছাত্রীর সঙ্গে ভালোবাসা, শিক্ষক বরখাস্ত!

প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের আসাদুজ্জামান নামে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই বিভাগের এক ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এদিকে ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অভিযোগকারী ছাত্রী জানান, ওই শিক্ষকের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। তিনি আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলে সম্পর্ক আরো গভীর হয়। চার-পাঁচ মাস আগে ওই শিক্ষক জানান, তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। অন্য ছাত্রীর মতো তাঁকেও একইভাবে দেখেন। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১০ এপ্রিল ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক ছাত্রী তার বিভাগের শিক্ষক আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এমনকি ওই ছাত্রীর মাও উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী ও তার মা জানান, ২০১৪ সালের দিকে আসাদুজ্জামান ওই ছাত্রীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। তাকে নিয়মিত ফোন দিতেন। ওই শিক্ষক নিয়মিত তাদের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ মেলামেশা হয়।

রেজিস্ট্রারের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১২ সালের দিকে একই ধরনের অভিযোগে গত ১৯ জানুয়ারি আসাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। ওই সময় তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভায় তাঁকে তিরস্কার করা হয়। এক বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বন্ধ করা হয়। ১ মাস ১০ দিন পর সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, এবারের অভিযোগে আবারও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট সভায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

অভিযোগের ব্যাপারে শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, শুনেছি আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তবে এখনো কোনো চিঠি পায়নি। ওই ছাত্রীর অভিযোগ ঠিক না। বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক ও প্রশাসনের কয়েকজন মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

ষড়যন্ত্রের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভাগে নিয়োগ বাণিজ্য করে টাকা আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করায় ষড়যন্ত্র চলছে। এ ছাড়া ২০১২ সালে যে অভিযোগ হয়েছিল, সেটাও ষড়যন্ত্র ছিল বলে তিনি দাবি করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!