• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছিনতাইকারী ঠেকাতে মাঠে নামছে নারী গোয়েন্দাও


বিশেষ প্রতিনিধি মে ২২, ২০১৮, ১১:৪০ এএম
ছিনতাইকারী ঠেকাতে মাঠে নামছে নারী গোয়েন্দাও

ঢাকা : ঈদ সামনে রেখে ঠকবাজ, মলম পার্টির দৌরাত্ম্যা, ছিনতাই রোধে মাঠে নামছে নারী গোয়েন্দা পুলিশ। ছদ্মবেশে তারা শপিং মল ও ব্যস্ত বিপণিবিতানের আশপাশে অবস্থান নেবেন। আগামী ১৫ রমজান থেকে এ ছদ্মবেশী গোয়েন্দারা চাঁদরাত পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। জনসাধারণের ঈদ কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ এই উদ্যোগ নিয়েছে। নারী গোয়েন্দারা সন্দেহভাজন অপরাধীদের গতিবিধির ওপর নজর রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। সহযোগিতা করবেন পুলিশের অন্য সদস্যরা।

পাশাপাশি বিভিন্ন মার্কেটের নিরাপত্তারক্ষী ও আনসার সদস্যরাও তাদের সহায়তা করবেন। ডিএমপি দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ ব্যাপারে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে শপিং মল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় আমাদের চৌকস নারী গোয়েন্দারা মাঠে থাকেন। এতে ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ঠিকমতো পাওয়া যায়। দুর্বৃত্তরা ওই নারী সদস্যদের দেখে বুঝতেই পারেন না যে তিনি পুলিশের সদস্য।

তিনি জানান, ঈদ ও রোজা উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ডিবি, এসবি, এনএসআই ও র‌্যাবের গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করেন। মূলত তাদের সহযোগিতা করার জন্য নারী গোয়েন্দারা কাজ করবেন। প্রতিবারের মতো এবারো তাদের নামানো হচ্ছে।  

নগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে অভিজাত শপিং মল ও ব্যস্ততম এলাকায় মানুষের ভিড় বাড়ে। বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ বাজার করতে আসেন। টাকার লেনদেন বাড়ে। তখন শপিং মলগুলোর ভেতরে ও বাইরে দুর্বৃত্তরা সক্রিয় থাকে। বিশেষ করে নারীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়। কেউবা বাইরে ছিনতাইয়ের শিকার হন। উচ্ছৃঙ্খল বখাটেরা দলবেঁধে ঘুরে বেড়ায়।

তারা নারীদের উদ্দেশ করে বিভিন্ন মন্তব্য, কখনো কখনো অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির পাশাপাশি লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটে। এমন অপরাধীদের শনাক্ত ও ধরতে পুলিশের সদস্যদের পাশাপাশি নারী গোয়েন্দারা কাজ করবেন। ইভটিজিং ও ছিনতাই রোধে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। মার্কেটের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার প্রধান মনিটরে বসে পুলিশ পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবেন। কাউকে সন্দেহ হলে তার পেছনে নারী গোয়েন্দাদের লাগিয়ে দেওয়া হবে। এমন ব্যবস্থা ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সূত্র জানায়, শুধু শপিং মল আর বিপণিবিতান নয়। রাজধানীর গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, পল্টনসহ যেসব এলাকায় ঈদের কেনাকাটা উপলক্ষে জনসমাগম বাড়ে সেখানে প্রতারকচক্রের সদস্যরা তৎপর হয়ে ওঠে। তারা নিরীহ মানুষের চোখে মলম লাগিয়ে, নাকে রুমাল ধরে অজ্ঞান করে, ব্লেড দিয়ে পকেট কেটে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। সেসব স্থানেও নারী গোয়েন্দাদের পদচারণ থাকবে ছদ্মবেশে।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গতকাল মুঠোফোনে বলেন, গত কয়েক বছর আমরা নারী গোয়েন্দাদের মাঠে নামাচ্ছি। এতে সুফল পেয়েছি। মার্কেটগুলোর আশপাশে দুর্বৃত্তের পদচারণ আর নেই। ফলে সাধারণ মানুষ কেনাকাটা করে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরেছে। আশা করছি এবারের রমজান মাস পুরোটাতে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!