ঢাকা: রাজধানীর সায়েদাবাদে ভিআইপি ছিনতাই চক্রের কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য ও সঙ্গীতশিল্পী বর্ষা চৌধুরী। এ ঘটনায় পড়ে গিয়ে তিনি হাতে আঘাত পেয়েছেন।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে সায়েদবাদ বাস স্ট্যান্ডের উল্টো পাশে এ ঘটনা ঘটে। বর্ষা চৌধুরীর অভিযোগ, তিনি ঘটনার পর থানায় গিয়ে পুলিশের অসহযোগিতায় ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেননি।
ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানালেও পুলিশ তার কাছ থেকে হারানোর বিষয়ক সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর-১২৫) লিখিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বর্ষা জানান, সপরিবারে যাত্রাবাড়িতে থাকেন বর্ষা। ঈদের পরের দিন রাত ১১টার দিকে শাহবাগ থেকে রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন। সায়েদবাদ বাস স্ট্যান্ডের উল্টোপাশে ফ্লাইওভারের নীচে আসতেই হঠাৎ একটি সাদা রঙের চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে এক যুবক শরীরের অর্ধাংশ বের করে বর্ষার কাধে ঝুলানো ব্যাগটিতে হ্যাঁচকা টান দেয়। এতে তিনি রিকশা থেকে নীচে পড়ে গেলেও ছিনতাইকারী যুবক ব্যাগ ছাড়েনি।
একপর্যায়ে হাতল ছিড়ে ৩টি দামী মোবাইল ফোন, ৪ হাজার ৮শ টাকা ও মূল্যবান কাগজসহ ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর অভিযোগ জানাতে যাত্রাবাড়ি থানায় যান বর্ষা চৌধুরী।
তিনি আরও জানান, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি যখন থানায় যান তখন আরও দুজন মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন থানায়।
কিন্তু দায়িত্বরত দু’জন পুলিশ সস্য ভুক্তভোগী তিনজনকেই বলেন, ‘জিডি-মামলা লেখার কেউ নেই। রাতে এসব কিছুই নেয়া যাবে না। আপনারা কালকে অথবা পরশু আসেন।’
বর্ষা চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হয়েও একটি ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিযোগ জানাতে পারলাম না। ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিচ্ছে হারানোর ঘটনা হিসেবে।
সেই জিডি নিতেও গড়িমশি দেখিয়েছে পুলিশ। ছিনকারী গ্রেপ্তার এবং মালামাল উদ্ধার দুরে থাক এখন পর্যন্ত জিডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার কোনও খোঁজই নিল না।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে যাত্রাবাড়ি থানার এসআই মো. আজিজ বলেন, আমাকে হারানো বিষয়ক একটি জিডির (১২৫ নম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ঈরে ঝামেলার কারণে এখনও জিডির কপি হাতে পায়নি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :